বৃহস্পতিবার মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেবে রাশিয়া: রমজান কাদিরভ
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার বাহিনীগুলো নেবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান নেতা রমজান কাদিরভ।
চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের বাহিনীগুলোও ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষ হয়ে লড়াই করছে।
এখন পর্যন্ত টিকে থাকা মারিউপোলের প্রধান শক্তিকেন্দ্র আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়া ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিকদের সরিয়ে নিতে ইউক্রেন আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর পুতিনের ঘনিষ্ঠ এ মিত্র একথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রমজান কাদিলব বলেন, দুপুরের খাবারের আগে অথবা পরে, আজভস্টালের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ান বাহিনীগুলো নিয়ে নেবে।
রাশিয়ান বাহিনী মারিউপোলের দখল নিতে পারলে এটিই হবে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পর সবচেয়ে ইউক্রেনের বড় শহর দখল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কাদিরভের এমন মন্তব্যের ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেদক জানিয়েছেন, বুধবার ছোট একটি বাস বহরে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের এ বন্দরনগরী ছাড়তে সক্ষম হয়েছেন কয়েক ডজন বেসামরিক।
বুধবার ভোরে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনীয় এক মেরিন কমান্ডার মেজর সেরহি ভোলেনা জানিয়েছেন, আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় থাকা যোদ্ধারা হয়তো আর বেশিক্ষণ সেটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবেন না।
এদিকে ওই ইস্পাত কারখানায় সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় এক হাজার বেসামরিকও আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ইস্পাত কারখানাটি থেকে এসব বেসামরিক ও সেনাদের সরিয়ে নিতে ইউক্রেনীয় আলোচকরা বুধবার কোনো শর্ত ছাড়াই রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা প্রধান আলোচক মিখাইলো পদোইলাক এক টুইটে বলেছেন, ‘আজভ (ব্যাটেলিয়ন), সামরিক বাহিনী, বেসামরিক, শিশু, বেঁচে থাকা আহতদের- আমাদের এসব লোকদের বাঁচাতে কোনো শর্ত ছাড়াই বিশেষ পর্যায়ের আলোচনার জন্য ইউক্রেইন প্রস্তুত।’
আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় আটকা পড়া বেসামরিক ও সেনাদের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্দিদের বিনিময় করার প্রস্তাব দিয়েছে কিয়েভ। এ কারখানাটিতে যে ইউক্রেনীয় সেনারা আছেন তাদের আত্মসমর্পণের জন্য রাশিয়া বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সীমা পার হয়ে গেছে।
রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে এবং দেশটির শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এসএন