নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া
পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়াতে এবার নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এমন তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছর একের পর এক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া, যার মধ্যে এমনকি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। ২০১৭ সালের পর এ ধরনের অস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা ছিল এটি। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার আগে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘নতুন এই অস্ত্রের ফলে দূর পাল্লার আর্টিলারি ইউনিটের যুদ্ধ সক্ষমতা উন্নত হয়েছে এবং ‘কৌশলগত পরমাণু অপারেশনের' নৈপুণ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।''
প্রতিবেদনে অস্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে উল্লেখ করা হলেও কোথায় এবং কখন তা চালানো হয়েছে সেটি বলা হয়নি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার তারা দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, যেগুলো ভূমি থেকে ২৫ কিলোমিটার উপর দিয়ে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের ১১০তম জন্মদিন পালন করেছে উত্তর কোরিয়া। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করেছিলেন বড় ধরনের পরীক্ষা বা সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে পিয়ংইয়ং। তবে অস্ত্র পরীক্ষা চালালেও এ উপলক্ষে কুচকাওয়াজ আয়োজনের খবর পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের কারো কারো ধারণা, পরীক্ষা চালানো অস্ত্রটি নতুন ধরনের স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র৷ উত্তর কোরিয়ার সংবাদপত্র রডং সিনমুন এ প্রকাশিত ছবিতে দেশটির নেতা কিম জং উনকে অস্ত্র উৎক্ষেপণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। কেসিএনএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিম দেশটির সামরিক গবেষণা দলকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং পরমাণু যুদ্ধ বহরকে সক্ষমতা আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে স্যাটেলাইটের ছবিতে উত্তর কোরিয়ার পুঙ্গে-রি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রে নতুন কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের আগে এই স্থাপনাটি ধ্বংসের কথা জানিয়েছিল পিয়ংইয়ং।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের ধারণা, উত্তর কোরিয়া খুব দ্রুতই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষাও চালাতে পারে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে