মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাকিস্তানের ‘ক্যারিশমাটিক’ প্রধানমন্ত্রীর পতন হলো যে কারণে

২০১৮ সালে ইমরান খান যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল যেন সবকিছু তারই পক্ষে কাজ করছে। ক্রিকেট খেলার সেই দিনগুলো থেকেই তিনি একজন জাতীয় বীর, আইকন। তারপর তার রূপান্তর একজন ‘ক্যারিশম্যাটিক’ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।

বহু দশক ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে গেঁড়ে বসা প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পরিবারকে বেশ সংগ্রামের পর অপসারণ করতে পেরেছেন ইমরান।

আবেদনময় সব গান নিয়ে প্রাণবন্ত রাজনৈতিক সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোরালো উপস্থিতিসহ তার আবির্ভাব হয়েছিল দুর্নীতিবিরোধী নতুন শক্তি হিসেবে। তিনি পরিবর্তন আর নতুন পাকিস্তান গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ইমরানের দল পিটিআই পাকিস্তানে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের সমাবেশগুলো জনতায় পরিপূর্ণ থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি দেখা যায়, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সরব উপস্থিতি। এসবের মাধ্যমে তিনি তাঁর দৃঢ় দুর্নীতিবিরোধী বার্তার বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হন।

ইমরান অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি তাঁর দেশে পরিবর্তন আনবেন। একটি নতুন পাকিস্তান গড়বেন।

পাকিস্তানে কোনো প্রধানমন্ত্রীই কখনো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তবে ইমরানকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি সম্ভবত তা পারবেন।

যেসব কারণের আলোকে ইমরানের অবস্থান সুরক্ষিত মনে হয়েছিল, সেই একই কারণ তাঁর পতন ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ইমরান ক্ষমতায় এসেছিলেন বলে কথিত আছে। তবে উভয় পক্ষই এ কথা অস্বীকার করে। এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের সেই সম্পর্ক চুকে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়।

নিঃসন্দেহে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরানের উল্লেখযোগ্য ও বাস্তবিক জনসমর্থন ছিল। কিন্তু পাকিস্তানে যাকে ‘স্টাবলিশমেন্ট’ বলা হয়, সেই সেনাবাহিনীর দিকে থেকেও নির্বাচনে তাঁর প্রতি গোপন সমর্থন ছিল।

ইমরানের শাসনামলে দেশটির সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাই সমালোচকেরা ইমরানের সরকারকে একটি ‘হাইব্রিড শাসনামল’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে ইমরানের দলত্যাগী এক সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, ‘তিনি (ইমরান) তাদের (সেনাবাহিনী) দ্বারাই তৈরি। তারাই তাঁকে ক্ষমতায় এনেছিল।’

ইমরানের প্রধান প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরিফ। তাঁকে প্রথমে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পরে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অনেকের সন্দেহ, নওয়াজ অতীতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে নওয়াজের শাস্তির আসল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ।

ক্ষমতায় আসার পর ইমরান গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন, নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তিনি ও সেনাবাহিনী একই মতাদর্শের অধিকারী।

ইমরানের এমন ঘোষণা নাগরিক সমাজের কর্মীদের উদ্বিগ্ন করে। ইমরানের শাসনামলে তাঁর সরকার ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই—উভয়ের সমালোচনাকারী সাংবাদিক-ভাষ্যকারেরা হামলা-অপহরণের শিকার হন। ইমরানের সরকার ও সেনাবাহিনী উভয়ে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। কিন্তু কোনো অপরাধীকে কখনোই শনাক্ত করেনি ইমরান সরকার।

ইমরানের সরকার পাকিস্তানে সুশাসনের উন্নতির বিষয়ে জোর দিয়েছিল। সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে দারুণ কিছু কাজ করেছেন ইমরান। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের একটা বড় অংশে স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প চালুর কথা বলা যায়।

তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে ইমরান হোঁচট খান। যেমন দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য রাজনৈতিক নবাগতকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর এ সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমালোচনা ও উপহাস কুড়ায়।

ইমরানের আরও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। তাঁর শাসনামলে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়েছে। ডলারের বিপরীতে পতন ঘটেছে পাকিস্তানি রুপি।

ইমরানের সমর্থকেরা এ পরিস্থিতির জন্য বৈশ্বিক অবস্থাকে দায়ী করেন। কিন্তু এ কথা সত্য, পাকিস্তানে ইমরানের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বাড়ছিল।

একসময় ইমরানের বিরোধীরা সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় ক্রমশ সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা এমনকি সেনাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের নাম ধরে ধরে বলতেন, কে কে ইমরানকে ক্ষমতায় এনেছেন।

কিন্তু পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে গত বছর। বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক বিবিসিকে বলেছেন, সুশাসন দিতে ইমরানের ব্যর্থতা, বিশেষ করে পাঞ্জাবের পরিস্থিতি দেশটির সেনাবাহিনীকে ক্রমশ হতাশ করে। ইমরানকে ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁর বিরোধীরা যেভাবে জনসমক্ষে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে আসছিল, সম্ভবত তা থেকেও বের হতে চাইছিল ‘স্টাবলিশমেন্ট’।

ইমরানের পতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজ করেছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও আইএসআইয়ের প্রধান লে. জেনারেল ফাইজ হামিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। ফাইজ পরবর্তী সেনাপ্রধান হতে আগ্রহী ছিলেন বলে ব্যাপকভাবে কথিত ছিল।

হামিদ স্পষ্টতই তাঁর সেনাপ্রধান হওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ফাইজ প্রতিবেশী আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের আগেই বলেছিলেন, তিনি সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, হামিদকে এমন একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, যিনি নোংরা কাজগুলো কার্যকরভাবে করতে পারতেন। যেমন রাজনীতিবিদদের বশে আনা কিংবা সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা। কিন্তু তাঁকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়নি।

বাজওয়া ও ফাইজের মধ্যকার বিরোধ গত অক্টোবরে তীব্র আকার ধারণ করে। এর বিরোধী ইমরানও জড়ান। বাজওয়া আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে নতুন একজনকে চাইছিলেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ফাইজের সঙ্গে ইমরান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তিনি দৃশ্যত আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্বে রাখতে চেয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, ফাইজ আবার ইমরানের বিজয় নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারেন।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধানের পরামর্শ মেনে আইএসআইয়ের প্রধান পদে নিয়োগ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আইএসআইয়ের প্রধান পদে সেনাপ্রধানের পছন্দের ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিতে ইমরান বিলম্ব করছিলেন। সেনাবাহিনী ও ইমরান সরকারের মধ্যকার সম্পর্কের এ দৃশ্যমান ফাটল বিরোধীদের উৎসাহিত করে।

বিরোধীরা যখন অনাস্থা ভোটের পরিকল্পনা শুরু করে, ইমরানের দল ও জোটের মিত্রদের থেকে সাংসদদের সম্ভাব্য পক্ষত্যাগের বিষয়ে বলতে থাকে, তখন বেশ কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে বলে, সামরিক বাহিনী বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এবার ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নিতে যাচ্ছে।

ইমরানের দলের একজন পক্ষত্যাগী সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, ফাইজ আইএসআইয়ের প্রধান থাকাকালে তিনি ও অন্য সাংসদেরা সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাটির কাছ থেকে ফোন পেতেন। তাঁদের কী করতে হবে, সে বিষয়ে গোয়েন্দা নির্দেশনা দিতেন। তাঁদের নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হতো। আইএসআইয়ের প্রধান পদ থেকে ফাইজকে সরিয়ে দেওয়ার পর এ ধরনের ফোনকল বন্ধ হয়। এখন আর সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করছে না।

তবে পাকিস্তানি সাংবাদিক কামরান ইউসুফ বিবিসিকে বলেন, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ইমরানের মিত্রদের ‘ম্যানেজ’ করার সঙ্গে সেনাবাহিনী জড়িত ছিল। সেনাবাহিনীর এ সমর্থন হারালে ইমরানের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

ইমরান ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়, বিশেষ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে। ইউক্রেন আগ্রাসনের জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নিন্দায় অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ইমরান। অন্যদিকে সেনাপ্রধান বাজওয়া গত সপ্তাহে বলেন, ইউক্রেনে রুশ হামলা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ভারত ইস্যুতেও ইমরানের সঙ্গে বাজওয়ার বিরোধ তৈরি হয়েছিল।

ইমরান বারবার অভিযোগ করে আসছেন, পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) নেতৃত্বাধীন ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। কারণ হিসেবে তিনি তাঁর সরকারের পশ্চিমাবিরোধী পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেন। তবে বেশির ভাগ বিশ্লেষক এ অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জন’ বলে নাকচ করেন।

সৌজন্যে: বিবিসি

এসএ/

Header Ad

লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সেখানে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আবহাওয়ার ২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিমি-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি। তাকে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত সনাতনীরা অবরোধ করবে বলেও হুমকি দিয়েছেন রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার রাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এমনকী বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূস সরকার গ্রেপ্তার করেছে।

শুভেন্দু আরও বলেন, “সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি না দিলে আগামীকাল থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।”

একই সঙ্গে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসও টানা ঘেরাও অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে ‘দমন-পীড়ন’ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে এবং এই অভিযোগে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমছেই। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক— উভয় বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম।

স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬১৯ ডলার বা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ টাকা। আর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬১৮ ডলার ৫০ সেন্টে, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা টিডি সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল গ্যালি রয়টার্সকে বলেন, স্বর্ণের দাম ওঠানামার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীরণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিক পালন করে।

ড্যানিয়েল বলেন,“ট্রেজারি বিভাগের (যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়) নতুন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্কট বেসেন্ট। ধারণা করা হচ্ছে যে এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে। তাছাড়া সম্প্রতি ইসরায়েল ও লেবানন যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়েছে। এর অর্থ ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধ থামছে।”

“গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বর্ণের দামের যে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছিল, তার একটি বড় কারণ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা। খনিজ তেল সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিতে অস্থিরতা শুরু হলে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়ে; বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় ভোগেন এবং স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।”

অবশ্য মূল্যহ্রাসের এই ধারা অব্যাহত থাকবে— এমন মনে করেন না অনেক বিশ্লেষক। কারণ তাদের ধারণা, স্কট বেসেন্ট আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য যুদ্ধ উস্কে দেবেন।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সব আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের