বাবা প্রধানমন্ত্রী, ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে
পাকিস্তানে ইমরান খানের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া এখন অনেকের কাছেই মাত্র সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি। ভোটে হেরে গেলে ক্ষমতাচ্যুত হবেন তিনি।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের বিদায় নিশ্চিত ধরে নিয়ে সম্ভাব্য নতুন ফেডারেল সরকার গঠনের আলোচনাও ইতিমধ্যে শেষ করেছে বিরোধী জোট। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফ। নতুন ফেডারেল সরকার হবে জাতীয় সরকারের মতো। এতে আনুপাতিক হারে শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বাবা শেহবাজ শরিফ যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে, তখন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ছেলে হামজা শেহবাজ। বাবা ও বিরোধী জোট সুপ্রিম কোর্টের লড়াইয়ে জয় পেয়েছে। ছেলের লড়াই লাহোর হাইকোর্টে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার গত মাসে পদত্যাগ করেন। এ কারণে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য পাঞ্জাব পার্লামেন্টে ভোট করতে হবে। পিএমএল-কিউ-এর চৌধুরী পারভেজ এলাহী এবং পিটিআই থেকে বেরিয়ে আসা পার্লামেন্ট সদস্যদের (জাহাঙ্গীর তারিন ও আলিম খান গ্রুপ) সমর্থন পাওয়ায় হামজা শেহবাজ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে।
প্রতীকী অধিবেশনে বিরোধীরা শেহবাজ শরিফকে যেমন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছে; তেমনি পাঞ্জাবেও বিরোধীরা হামজাকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছে। শেহবাজ শরিফও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অনাস্থা ভোটের সঙ্গে এখন বাবা-ছেলের প্রতীক্ষা পাকিস্তান শাসনের।
এসএ/