ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণে অনাস্থা ভোট আজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণে আজ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইমরান খান অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে যুক্তরাষ্ট্র, জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এ সম্পর্কে জানতো।
জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, 'মার্কিন ও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বৈঠকে রাশিয়ায় ইমরানের সাম্প্রতিক সফর নিয়ে আপত্তি তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আমরা জানতে পারি, মার্কিন কূটনীতিকরা আমাদের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তাদের পুরো পরিকল্পনা আমরা জানতে পেরেছি। পাকিস্তানে নিজেদের অনুগত প্রধানমন্ত্রী চায় বিদেশি শক্তি।আমদানি করা কোন সরকার পাকিস্তানে চলবে না।'
পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা বিদেশিদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। বিদেশি ষড়যন্ত্রের ইস্যুটি সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্বের সাথে নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন,'আইনপ্রণেতাদের নিয়ে ঘোড়া ব্যবসা চলছে। ভেড়ার মত বিক্রি হচ্ছেন তারা। বিদেশি চক্রান্তের প্রমাণ হিসেবে যে চিঠি আমাদের হাতে রয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তা অন্তত যাচাই করে দেখতো। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছি। তবে শীর্ষ আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি।'
আইনপ্রণেতাদের অর্থ দিয়ে কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের তরুণেরা আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তারা যদি নেতা বিক্রি হয়ে যাওয়া দেখেন, তাহলে আমরা তাদের জন্য কী নজির রেখে যাচ্ছি?’
বিদেশিদের হুমকির চিঠি নিয়ে ইমরান আরও বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ ও তার ভাই জাতীয় পরিষদের নেতা শাহবাজ শরিফ এ কেনাবেচা ৩০ বছর আগে থেকে শুরু করেন। এখনো সেটা বজায় রেখেছেন।
তিনি বলেন, শেরওয়ানি পরে শপথগ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকা শাহবাজ বিদেশি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।
অনাস্থা ভোটের আগে শুক্রবার জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় স্পিকারের বিরুদ্ধেও। পাঁচদিনের এক শুনানির পর বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট পুনর্বহালের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার ফের অনুষ্ঠিত হবে ইমরান খানের ভাগ্যনির্ধারণী অনাস্থা ভোট।
কেএফ/