প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে দেশটির সিনেট। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস সৃষ্টি হলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান বা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি। গতকাল বৃহস্পতিবার ৫২-৪৭ ভোটে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনের নিয়োগ অনুমোদন করে। দেশটির বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির তীব্র আপত্তির পরও ৫৩-৪৭ ভোটে জ্যাকসনকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এসময় ৫০ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের সঙ্গে ৩ জন রিপাবলিকান সিনেটরও জ্যাকসনের নিয়োগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটাভুটির এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটিতে সভাপতিত্ব করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।
অবশ্য তার নিয়োগ আটকাতে তীব্র বিরোধিতা করেন রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা। তাকে 'কট্টর উদারপন্থি' হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়। এসময় বলা হয়, তিনি অপরাধীদের 'সুরক্ষা' দিয়ে থাকেন। তবে সব বাধা ডিঙিয়ে জ্যাকসনের এই নিয়োগ অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের 'অগ্রগতির একটি প্রতীক' হিসেবে বর্ণনা করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
কেতানজি প্রায় ১০ বছর ধরে ফেডারেল ও আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৮৩ বছর বয়সী বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ারের স্থলে কেতানজিকে মনোনীত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলতি গ্রীষ্মে আদালতের অধিবেশন মুলতবির পর অবসরে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ প্রশ্নে গত মাসে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সামনে চার দিন ধরে শুনানি হয়। তখন ডেমোক্র্যাটরা ৫১ বছর বয়সী কেতানজির অভিজ্ঞতা ও গভীর প্রজ্ঞার প্রশংসা করেছিলেন।
কেএফ/