ইউক্রেনকে ২৫ হাজার বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে প্রায় ২৫ হাজার বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের পাশাপাশি ইউক্রেনকে ৬০ হাজার অ্যান্টি ট্যাংক সিস্টেমও সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বকে দীর্ঘমেয়াদে প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ কয়েক সপ্তাহ, মাস, এমনকি বছরও গড়াতে পারে।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, জোট মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যা সংঘাতটিকে স্বল্পমেয়াদী হতে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, যদি এই যুদ্ধ দীর্ঘ সময়ে গড়ায় তাহলে ইউক্রেনের মানুষদের আরও বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক ঝুঁকি থাকছে। আমরা আরও মৃত্যু ও ধ্বংস দেখব।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
৪৩ দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ চলছে যুদ্ধের ৪৪তম দিন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
এসএ/