পাকিস্তানে এনএসএ'র ইস্তফা
পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা পরামর্শদাতা (এনএসএ) মঈদ ইউসুফ ইস্তফা দিয়েছেন। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলার শুনানি।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে ইস্তফা দিলেন এনএসএ মঈদ ইউসুফ। তিনি বলেছেন, 'আজ আমি সন্তুষ্ট। কারণ আমি জানি আমাদের এমএসএ ও এনএসডি খুবই প্রাণবন্ত সংস্থা। এনএসএ'র টিম খুবই ভালো। তারা ভবিষ্যতেও পাকিস্তানকে গর্বিত করবে।'
ইউসুফ বলেছেন, 'এনএসএ-এর দায়িত্ব পাওয়া ভাগ্যের কথা। তার উপর আমি যে বয়সে এই দায়িত্ব পেয়েছি, তা অনেকের ভাগ্যে জোটে না। গত আড়াই বছর ধরে আমি এই দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়টা ছিল অসাধারণ।'
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রস্তাব মেনে প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন। ভোটের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে যেভাবে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন, সেটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিচার করছে। সোমবার তিন ঘণ্টা ধরে শুনানি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সোমবার দুপুরের পর সুপ্রিম কোর্টের আদালতকক্ষ ছিল ভিড়ে ঠাসা। আইনজীবী, পার্লামেন্টের সদস্য এবং সাংবাদিকদের ভিড়ে পা ফেলার মতো জায়গা ছিল না। আইনজীবীদের টেবিলে রাখা ছিল মোটা মোটা আইনের বই। তিন ঘণ্টার শুনানি ছিল রীতিমতো ঘটনাবহুল। মাঝেমধ্যেই বিরোধীদের আইনজীবী ফারুক এইচ লায়েকের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রীতিমতো উত্তেজক সওয়াল-জবাব চলছিল।
অনেকে রায় কোনদিকে যেতে পারে, সে ব্যাপারে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। কিন্তু সোমবারের শুনানি দেখে মনে হয়েছে, এখনই কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় আসেনি। তার জন্য রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা দরকার। বিরোধীরা দ্রুত রায় চাইছেন। তারা মনে করছেন, রায় দেরিতে আসলে ইমরান খানের সুবিধা হবে। তিনি গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
টিটি/