আজ পার্লামেন্টের সামনে লাখো সমর্থক জড়ো করবেন ইমরান
আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) অনাস্থা ভোটের সময় পার্লামেন্টের বাইরে এক লাখ সমর্থক জড়ো করার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার এ ঘোষণায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিরোধীদলগুলো। সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারেরও দাবি জানিয়েছে তারা।
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধীদের বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। তবে এরই মধ্যে বিরোধীদের হিসাব চূড়ান্ত। রবিবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট উত্থাপিত হলেই সটকে পড়তে হবে খান সরকারকে, এমনটাই দাবি বিরোধীদের। তবে ইমরান খান সাফ জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
শুক্রবার এআরওয়াই টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, পাকিস্তানকে গড়তে গিয়ে তিনটি বিকল্পের মুখোমুখী হয়েছেন তিনি। পদত্যাগ, অনাস্থা ভোট কিংবা পুনর্নির্বাচন। এ নিয়ে দল বদল করা পিটিআই নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।
অনাস্থা ভোটের সময় পার্লামেন্টের বাইরে এক লাখের বেশি সমর্থক জড়ো করার যে ঘোষণা ইমরান খান দিয়েছেন তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘রাজধানীতে সরকারি দলের সমর্থকরা জড়ো হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়তে পারে।’ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা তার। এ অবস্থায় পার্লামেন্ট ভবনের পাশাপাশি পার্লামেন্ট সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট সফল হলেও নতুন নেতা শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।’
শনিবার (২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদের উদাহরণ দেন তিনি। এতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকা নিয়ে নির্দেশনা রয়েছে। উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব পালন করতে বলবেন প্রেসিডেন্ট।
অনাস্থা ভোট পাস হওয়ার পর নিম্নকক্ষে নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কতটা সময় নেবে, তা নিয়ে পাকিস্তানের সংবিধানে কোনো আভাস দেওয়া হয়নি। গত মাসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট উত্থাপন করে বিরোধীরা। রবিবার সেই ভোট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনাস্থা ভোটকে বিদেশি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ রশিদ বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো এই ষড়যন্ত্রের অংশ। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা উচিত।’
এর আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে দেশটির বিরোধী জোট। বিরোধীদের এমন পদক্ষেপ সফল হলে পাকিস্তানি রাজনীতি একটি অশুভ মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
এসএ/