পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হাতাহাতি
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাটে ১০ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৮ মার্চ) ক্ষমতাসীন তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে নাক ফেটে গেছে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ছিল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। বিরোধী দলের নেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল আজ। অধিবেশন শুরু হলে শুভেন্দু অধিকারী তাদের আলোচনার জন্য দুই ঘণ্টা সময় চান। তিনি রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গে আলোচনার সুযোগ দিতে সময় চান।
তিনি এসময় জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী কোনো বিবৃতি দেননি। তৃণমূল মুখ খোলেনি বিধানসভায়। তাই তারা মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পাশাপাশি রামপুরহাট–কাণ্ড নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন।
কিন্তু বিধানসভা স্পিকার সেই দাবি খারিজ করে দিলে প্রতিবাদ করেন বিজেপির বিধায়কেরা। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা স্পিকারের চেয়ারের দিকে এগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে শুরু হয় তৃণমূল–বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি, হাতাহাতি এবং শেষ পর্যায়ে মারামারি। একপর্যায়ে উভয় দলের বিধায়কেরা একে অপরের ওপর চড়াও হয়। শুরু হয় মারপিট।
বিজেপি বলেছে, বিধানসভার বিজেপির দলীয় মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গারের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কিলঘুষি মারা হয়,আহত করা হয়েছে। পরে অবশ্য বিজেপির বিধায়কেরা বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন।
এ ঘটনায় আহত অসিত মজুমদার দাবি করেছেন, তাকে বিজেপির বিধায়ক ও বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘুষি মেরে আহত করেছেন।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, তার দলের আট বিধায়ককে মেরেছেন তৃণমূল বিধায়কেরা।
কেএফ/