চীনের সাংহাইয়ে প্রথমবারের মতো লকডাউন
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম শহরটিতে লকডাউন দেওয়া হলো।
বিবিসি জানায়, শহরটিতে দুই দফায় ৯ দিনের বেশি লকডাউন অব্যাহত থাকবে। লকডাউন চলাকালে শহরের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করবে কর্তৃপক্ষ।
চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র সাংহাইতে প্রায় এক মাস ধরে করোনার সংক্রমণের নতুন ঢেউ চলছে।
শনিবার এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয় শহরটিতে। তারপরই কর্তৃপক্ষ শহরে লকডাউন জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
লকডাউন কার্যকর করা হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে সোমবার (২৮ মার্চ) থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সাংহাইয়ের পূর্বাঞ্চলে লকডাউন জারি থাকবে। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে শহরটির পশ্চিমাঞ্চলে। এ সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ রাখতে হবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানা। তবে ঘরে থেকে কাজ করা যাবে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী কমে এসেছে করোনার তাণ্ডব। গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্ত-মৃত্যুও কমতির দিকে। সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫১২ জন। এ সময় মারা গেছেন আরও ২ হাজার ৩২৬ জন।
আগের দিন রবিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ জন। এ সময় মারা যান ৩ হাজার ৬৫ জন। এর আগে শনিবার (২৬ মার্চ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩৩ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছিল ৪ হাজার ৫৬৬ জনের। যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম। এছাড়া শুক্রবার (২৫ মার্চ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ জন। এ সময় মৃত্যৃ হয়েছিল ৪ হাজার ৮৩০ জনের। এর আগে গত কয়েক দিন ধরেই আক্রান্ত ও মৃত্যু নিম্নমুখী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ১৯১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪১ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ২৬৬ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
কেএফ/