ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান করল নাগাল্যান্ডে নিহতদের পরিবার

ভারতের নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত ১৪ বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার করা না হলে ক্ষতিপূরণ নেবে না নিহতদের পরিবার।
ওতিং গ্রামের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় না আনলে ও বিতর্কিত বিশেষ ক্ষমতা আইন-এএফএসপিএ বাতিল না করলে সরকারি ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করবে না তারা।
নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের অনুমোদন দিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার।
গত ৬ই ডিসেম্বর মন জেলায় বিদ্রোহী সন্দেহে আসাম রাইফেলসের সেনারা গুলি চালালে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় এর মধ্যে ১২জনই ছিল ওতিং গ্রামের বাসিন্দা। পরে ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাগাল্যান্ডে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
এ ঘটনায় নাগাল্যান্ড পুলিশ তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানায়, গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে যায়। সেনা সদস্যরা মরদেহগুলো অন্য আরেকটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখতে পায় তারা। এতে তারা ক্ষুব্ধ হলে সহিংসতা শুরু হয়। এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১ সদস্য।
এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। মন জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি করে ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের-এনএসসিএন বিদ্রোহী ভেবে তারা গুলি চালিয়েছিল।
অপরদিকে, স্থানীয়দের দাবি নাগাল্যান্ডে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের সময় প্রায়ই নিরীহ গ্রামবাসীরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
কেএফ/
