ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের গোলাবারুদের ডিপো ধ্বংস
মস্কো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ভূগর্ভস্থ গোলাবারুদের ডিপো ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এ দাবি জানান বলে শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইগর কোনাশেনকভ নামের ওই মুখপাত্র দাবি করেছেন, ওই ডিপোতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইউক্রেনের সেনাদের বিমান হামলায় ব্যবহারের জন্য গোলাবারুদ মজুদ ছিল।
এর আগে, রাশিয়া কখনোই কোনো যুদ্ধে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ার অত্যাধুনিক এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে।
রুশ সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার ব্যবহৃত 'কিনজাল' নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
২৩ দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ চলছে যুদ্ধের ২৪তম দিন। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার বিশাল সেনাবহর। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
কেএফ/