সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইউক্রেন সংকট: প্রশ্নবিদ্ধ পশ্চিমা ‘নিরপেক্ষ’ সাংবাদিকতা

রুশ সৈন্যরা ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশ করে। এরপর পশ্চিমা সংবাদদাতারা এবং ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে নিউজরুম রাশিয়ার অহিংস আগ্রাসনে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অতিমাত্রায় সহানুভূতি দেখান। সেই সঙ্গে নিজ দেশকে আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে যারা অস্ত্র ধরেন তাদের প্রতি উল্লেখযোগ্য সহানুভূতিও দেখান।

আক্রমণের প্রথম দিকে, সর্বাত্মক আক্রমণের মুখে ইউক্রেনীয়রা প্রতিদিন যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয় ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায়। ধীরে ধীরে ‘প্রতিরোধ’ শব্দটি ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং স্বেচ্ছাসেবকদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হতে শুরু করে, যারা তাদের স্বদেশ রক্ষার জন্য অস্ত্র ধরেছেন। পশ্চিমা চ্যানেল এবং নিউজসাইটগুলো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কির বার্তা প্রচার করে। যেখানে প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনীয়দের দেশের ভেতরে এবং বাইরে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করেন। তিনি যে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের কাছে সামরিক সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন তাও প্রচার করা হয়।

সংবাদ প্রতিবেদনে, রাশিয়ার তথাকথিত ‘বিশেষ অভিযান’ কে বারবার একটি ‘আক্রমণ’, এবং ‘অপ্ররোচনাহীন আগ্রাসন’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু’ এবং ‘আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণের’ জন্য নিন্দা করা হয়েছে। ‘বেসামরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে’ এই ভিত্তিহীন দাবি ছাড়া রাশিয়াকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি।

যুদ্ধ কাভার করা একজন সাংবাদিক হিসেবে, ইউক্রেনের যুদ্ধের কাভারেজের জন্য এই শর্তাবলী সমর্থন করা যায়। সাংবাদিকরা এমন ভাষা ব্যবহার করেন, যা তাদের চোখের সামনে একটি উদীয়মান পরিস্থিতির বাস্তবতাকে সঠিকভাবে প্রকাশ করে– যে ভাষা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের মুখেও ‘উদ্দেশ্য’, ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ হওয়ার ইচ্ছা দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা স্টাডিজ বিভাগের প্রধান জাহেরা হার্ব বলেন, রাশিয়ান আগ্রাসনের সুযোগে এই জাতীয় সুনির্দিষ্ট ভাষা এবং পরিভাষা ব্যবহারকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করা গেলেও এক্ষেত্রে হতবাক এবং হতাশ হতে হয়। কারণ পশ্চিমা মিডিয়ার জন্য ১৯৯০ এর দশকে লেবাননে ইসরায়েলের ‘আক্রমণ’ কাভার করার সময়ে, দেশে কী ঘটছে তা সঠিকভাবে বর্ণনা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেসময় সাংবাদিকদের ওই দ্বন্দ্বের কাভারেজের ক্ষেত্রে ‘আবেগপ্রবণ’, ‘আংশিক’ বা ‘ভারসাম্যহীন’ হওয়ার জন্য তিরস্কার করা হয়েছে। যখনই তারা যা বলার চেষ্টা করে, শ্বেতাঙ্গ, ইউরোপীয় এবং আমেরিকান সংবাদর্মীরাও পক্ষপাতিত্ব এবং বস্তুনিষ্ঠতার অভাবের অভিযোগের সম্মুখীন হন।

উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালে, প্রবীণ ব্রিটিশ সাংবাদিক জন স্নো চ্যানেল-৪ নিউজ ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যায় বহু নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ইসরায়েলকে নৃশংস দমন-পীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একাধিক সমালোচনা এবং এমনকি নিন্দার সম্মুখীন হন। স্নোর ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং জনসাধারণের অনেকেই তাকে ইসরায়েলের কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সঠিকভাবে রিপোর্ট করার জন্য অভিনন্দন জানান। বেশিরভাগ সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষক ব্রিটিশ সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে তার সমালোচনা করেন।

যখন আমরা ব্রিটিশ, আমেরিকান এবং অন্যান্য পশ্চিমা চ্যানেলগুলোতে ইউক্রেনের যুদ্ধের চলমান কাভারেজ দেখি এবং সাংবাদিকদের সহানুভূতি, আবেগ এবং মানবতা প্রদর্শন করতে দেখি, যখন তারা তাদের চোখে দেখা নৃশংসতার বিষয়ে রিপোর্ট করে তখন আমাদের প্রশ্ন করা উচিত যে বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা মানে সত্যিই কী সাংবাদিকতা।

পশ্চিমা সাংবাদিকরা আর উচ্চতর নৈতিক ভিত্তি দাবি করতে পারে না – তারা আর বলতে পারে না যে তারা গ্লোবাল সাউথের সাংবাদিকদের চেয়ে কিছুটা ভাল, আরও পেশাদার।

প্রতিটি একক পশ্চিমা সাংবাদিক যারা ইউক্রেন যুদ্ধের কাভারেজের জন্য অবদান রেখেছেন এবং ‘প্রতিরোধ’, ‘আগ্রাসন’ এর মতো শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন তাদের থামতে হবে এবং ভাবতে হবে কেন লেবাননের সাংবাদিকদের জন্য একই শব্দ ব্যবহার করা অগ্রহণযোগ্য। যেখানে ১৯৯৩, ১৯৯৬ এবং ২০০৬ সালে লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের উপর ইসরায়েল হামলা করে।

তাদের থামতে হবে এবং জিজ্ঞাসা করতে হবে কেন লেবাননের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি, তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখানো, তাদের সংগ্রাম ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টাকে পক্ষপাতিত্ব এবং অ-পেশাদারিত্ব হিসেবে দেখা হয়।

অতীতে লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলার কাভারেজে যখন লেবাননের সাংবাদিকদের ‘প্রেক্ষাপটে উদ্দেশ্যমূলক’ বলে লেখা হয়, তখন বলা হয়েছিল যে ‘প্রসঙ্গে উদ্দেশ্য বলে কিছু নেই’। কিন্তু এখন অ্যাংলো-আমেরিকান সাংবাদিকরা তাদের ইউক্রেনের কাভারেজের ক্ষেত্রে ‘প্রেক্ষাপটে উদ্দেশ্যমূলক’ হয়ে উঠছে । তারা তাদের নিজস্ব অনুভূতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস প্রচার করছে।

অনেক দীর্ঘ সময় ধরে, পশ্চিমা সাংবাদিকরা এবং শ্রোতারা বস্তুনিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতাকে পরম ধারণা হিসেবে দেখেছেন।

এর মধ্যে, ইউক্রেনের চলমান ট্র্যাজেডি কাভার করার জন্য কিছু পশ্চিমা সাংবাদিকের প্রশংসনীয় কাজকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উদ্বাস্তুদের সংজ্ঞায়িত করার সময় কিছু সাংবাদিকের বর্ণবাদী, প্রাচ্যবাদী এবং অবমাননাকর অনুভূতি বাদ দিয়ে, বেশিরভাগ সংবাদকর্মী তাদের দর্শকদের কাছে বর্তমানে ইউক্রেনে যা ঘটছে তা সঠিকভাবে জানাতে কাজ করেছেন।

মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার জন্য পরম বস্তুনিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতা সবসময় প্রয়োজন হয় না। প্রকৃতপক্ষে, মানুষের দুর্দশা এবং কষ্টের সঙ্গে মোকাবিলা করার সময় তা ভালো, সঠিক এবং অর্থপূর্ণ সুযোগের জন্য বাধা হতে পারে। একটি মানব ট্র্যাজেডিকে কাভার করার সময় নিরপেক্ষতার অর্থ এবং গুরুত্ব পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে – তা বন্ধু হোক বা শত্রু।

ন্যাটোর আদৌ কোনো প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ায় প্রতিবেদন নেই। ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা কেন বাড়ানো হচ্ছে তারও ব্যাখ্যা কেউ দিচ্ছে না। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন যখন ন্যাটোর সদস্য হতে মরিয়া তখন রাশিয়া যে ইউক্রেনকে ছাড় দেবে না তা অনুমেয়ই ছিল। বুকের উপর পশ্চিমাদের আধিপত্য কখনোই মানবে না রাশিয়া। পশ্চিমা মিডিয়ায় এ বিষয়গুলো সব সময় উপেক্ষিত। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

আরএ/

Header Ad

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করে।

সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ড. এনামুল হক চৌধুরী।

২০১৮ সালে কারাবরণ এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৬ আগস্ট স্থায়ী মুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের এটি প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার সঙ্গে ঢাকাস্থ তৎকালীন রাজকীয় সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি সাক্ষাৎ করেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। ফিরোজায় অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাতে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সারাহ কুক।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চিন্ময় দাস আটক হয়েছেন বলে আমরা জানি। উনার নামে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আপনাদের (সাংবাদিক) জানাবেন।

এদিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময়ে পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অ্যালার্ট ছিল। কিন্তু পাবলিক এক্সপেকটেশনের কারণে আমরা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছি। পুলিশ লাঠিচার্জ করুক, এটাও সরকার দেখতে চায় না।

Header Ad

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চতুর্থ দিনের মত দূরপাল্লার সব পরিবহন বাস বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে।

এতদিন বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে সাতক্ষীরা রুটের গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।সোমবার থেকে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।

এতে প্রতিদিন ভারত ফেরত হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের চেকপোস্টে না নিতে দিয়ে গভীর রাতে পৌর বাস টার্মিনালে নামাতে বাধ্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাত থেকে বেনাপোলের দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,"আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।"

সাতক্ষীরা কে লাইন পরিবহনের জামতলা কাউন্টার প্রধান আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন,বেনাপোলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহণের সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন টিকিট বিক্রি করছি না।

এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ট্রেন ব্যবহার করছেন। এতে ভোগান্তি,সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচও বেশি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ভারত ফেরত যাত্রী নেত্রকোনার জিতেন সাহা, নারায়নগঞ্জের সাদ্দাম হোসেন টিপু, ঢাকার ফজলুর রহমান শেখ, লাল্টু হোসেন ও বিনয় পালের সাথে।

নেত্রকোনার জিতেন সাহা বলেন, তিন জন মিলে একটি প্রাইভেট নিয়ে যশোর যাচ্ছি।সেখান থেকে বাস ধরে বাড়ি যাবো।ভারত থেকে দেশে ফিরে এখন দেখছি 'দূর্ভোগের শেষ নেই'।

যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে গাড়ির জট। বাস চলাচলে কোন যানজট হয়না। ভারত বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারনে সৃষ্টি হত যানজটের। দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনার দাবী জানান মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু।

বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষন করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধায় রাতের বাস চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাস যাচ্ছিল পৌর টার্মিনালে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রী পৌর বাস টার্মিাালে নামিয়ে নেওয়া হয়। বাস প্রবেশে দেওয়া হয বাধা। এরই প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। টানা চার দিন দুর পাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধে ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়ছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এর সুরাহা চান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত