পুতিনও মার্সেনারি নিয়োগ দিচ্ছেন
রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিশ্বজুড়ে মার্সেনারিদের আহ্বান জানিয়েছেন। এবার মার্সেনারি যোদ্ধাদের স্বাগত জানানোর কথা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। শুক্রবার (১১ মার্চ) অনলাইনে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা জানান পুতিন।
পুতিন বলেন, ‘যদি কেউ অর্থপ্রদান ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আসতে চায় এবং ডনবাসের মানুষকে সাহায্য করতে চায়, তাহলে আমাদের উচিত তাদের ইচ্ছাপূরণের পাশাপাশি যুদ্ধ অঞ্চলে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া।’
এ সময় চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন থেকে জব্দ করা অস্ত্র ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে রুশসমর্থিত বিদ্রোহীদের সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন পুতিন।
বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১৬ হাজার মার্সেনারি যোদ্ধা ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছে।’
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, রাজধানী কিয়েভে নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার মন্ত্রণালয় জানায়, কিয়েভের দিকে বিশাল বহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। শহরটিতে নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
ষোল দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ চলছে যুদ্ধের ১৭তম দিন। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার বিশাল সেনাবহর। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
এসএ/