যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী জনসংখ্যা ১১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনার মাঝেও দিন দিন বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শিথিল নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ঘটনা ব্যাপকহারে বেড়েছে। শুধুমাত্র গত বছরই যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করেছেন ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী।
সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এখন ৪৬ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজের বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, অভিবাসীদের সংখ্যা এখন আদমশুমারিতে নাম আসা দেশের মোট জনগণের ১৪ দশমিক ২ শতাংশ, যা ১১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ১৮৯০ সালে অভিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ১৯১০ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছিল। অভিবাসী বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ডকে অতিক্রম করতে পারে। গত বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে ‘বেআইনি অভিবাসন’ শিরোনাম প্রাধান্য পেয়েছিল। কারণ ওই সময় প্রায় ২০ লাখ অভিবাসী মার্কিন সীমান্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আরও অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য শনাক্তকরণ এড়িয়ে গেছেন।
বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসীনীতি কিছুটা শিথিল করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রচেষ্টা ‘সীমানা প্রাচীর নির্মাণ’ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া এন্ট্রি এবং নির্বাসন উভয় নীতি উঠিয়ে দিয়েছেন।
ফেডারেল কর্মকর্তারা বলেন, বাইডেনের দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস আগে থেকেই অভিবাসীদের ঢেউ শুরু হয়। সিআইএসের রিপোর্টে বলা হয়, অভিবাসী জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এবং তারপরে প্রতি মাসে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যে বাইডেনের অভিবাসীপন্থী নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এ মাসের ২ তারিখ অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ব্রনোভিচ সুপ্রিম কোর্টের সামনে কঠোর অভিবাসীনীতির পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। ২০১৬ সালের প্রচারণায় সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্পও বাইডেনের নীতির সমালোচনা করেছেন।
এসএ/