দুই দিনের মধ্যে কিয়েভ দখল করতে চেয়েছিলেন পুতিন: সিআইএ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের মধ্যেই কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি সিআইএ প্রধানের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের এক শুনানিতে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস বলেন, ‘আমার ধারণা, পুতিন এখন খুবই রাগান্বিত এবং হতাশ হয়ে আছেন। তিনি এখন দ্বিগুণ শক্তি বাড়াবেন এবং ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে পর্যুদস্ত করতে সব কিছুই করবেন, তাতে যতই বেসামরিক প্রাণহানি হোক না কেন।’
তিনি আরও বলেন, “বহু বছর ধরেই ক্ষোভ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার এক মিশেলের মধ্যে রয়েছেন পুতিন। ২৪ ফেব্রুয়ারির ওই হামলা ক্রেমলিনের নেতার ‘গভীর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের’ বিষয়।”
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
তের দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে আজ চলছে যুদ্ধের ১৪তম দিন। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
এসএ/