গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা ও তার স্ত্রী নিহত

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামাসের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামাসের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল এবং তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির পতনের পর এটি ছিল সবচেয়ে তীব্র হামলাগুলোর মধ্যে একটি।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র রবিবার খান ইউনিস ও রাফাহতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
৬৬ বছর বয়সী সালাহ আল-বারদাউইল হামাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও রাওহি মুশতাহার নিহত হওয়ার পর তিনি হামাসের সর্বোচ্চ পদস্থ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বিবেচিত হতেন। আট সন্তানের জনক বারদাউইল ২০২১ সালে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোতে পুনরায় নির্বাচিত হন।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে, হামাস বলেছে যে ইসরায়েল কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত মূল চুক্তি থেকে সরে এসেছে, যেখানে সেনা প্রত্যাহার, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার পর আহতদের উদ্ধারে গেলে তাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘিরে ফেলা হয় এবং কিছু প্যারামেডিক আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাফাহতে গুলি বৃষ্টির মতো ঝরছে। আহতদের কাছে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারছে না এবং উদ্ধারকারীরা নিজেদেরই অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যার ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং ব্যাপক অবকাঠামো ধ্বংস হয়।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে আছে এবং গাজায় মানবিক সংকট ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে।
