যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩০
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলেও ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। যুদ্ধবিরতির চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মধ্যস্থতাকারীদের বরাতে জানা গেছে, কাতারের রাজধানী দোহায় সম্পন্ন হওয়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সব শর্তই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে সহায়তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গাজায় ইসরায়েল অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালায়। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ।
যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইসরায়েলের এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক মহল গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।