ইসরায়েল-আমেরিকা-ব্রিটেনের চার জাহাজে হামলার দাবি হুথির
ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্তত চারটি জাহাজ লক্ষ্য করে পৃথক হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। সোমবার লোহিত সাগর, আরব ও ভূমধ্যসাগরের পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, প্রথম অভিযানে আরব সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ইউনিফিককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এছাড়া চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো লোহিত সাগরে পরিচালিত অভিযানে তেলবাহী মার্কিন ট্যাংকার ডেলোনিক্সকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হুথির এই মুখপাত্র বলেছেন, তৃতীয় অভিযানে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাজ্যগামী জাহাজ অ্যানভিল পয়েন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। আর ভূমধ্যসাগরে চতুর্থ একটি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ওই জাহাজটি লাকি সেইলর নামের বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইয়াহিয়া সারির এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার জবাবে হুথিরা ওই হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজে গত নভেম্বর থেকে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। তাদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথ হামলা চালালেও; সেগুলো তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
হুথিদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বে সমুদ্র পথে যত বাণিজ্য হয়, তার ১২ শতাংশই লোহিত সাগর দিয়ে হয়। এদিকে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হুথিদের হামলার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এর অনেক প্রভাব পড়েছে।
লোহিত সাগর থেকে মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে যেসব জাহাজ ইউরোপে যেত; সেসব জাহাজকে এখন আফ্রিকা ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স