স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না: সৌদি
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান। ছবি: সংগৃহীত
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন না করার কথা আগেই জানিয়েছে সৌদি আরব। এবার মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সম্পদশালী ও প্রভাবশালী এই দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলও থাকতে পারে না।
একইসঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব। সোমবার (২৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরায়েলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না বলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান ব্রাসেলসে আরব ও ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের পর জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে তারা যে নিরাপত্তা চায় সেটি ইসরায়েল স্বীকার করে না এবং এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।
সৌদি আরবের শীর্ষ এই কূটনীতিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছাড়া ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না এবং এটা সম্পূর্ণরূপে মেনে নেওয়াই প্রয়োজন ইসরায়েলের।’
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নিরাপত্তা পাবে ইসরায়েল। তাই আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, ইসরায়েলের নেতারা বুঝতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে কাজ করাটা তাদের স্বার্থেই ভালো। আর সেটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করাই নয় বরং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।’
Brussels | Foreign Minister HH Prince FaisalbinFarhan: it is absolutely necessary that Israel accepts that it cannot exist without the existence of a Palestinian State. pic.twitter.com/F8IDDqGGg2
— Foreign Ministry (KSAmofaEN) May 26, 2024
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়ে দেয় সৌদি আরব।
সৌদি প্রেস এজেন্সির বিবৃতিতে সেসময় বলা হয়, ১৯৬৭ সালে সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে না বলে সৌদি আরব বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং অবরুদ্ধ এলাকা থেকে সকল রকমের ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। আর গত বছরের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি আরও বেড়েছে।
মূলত গাজা ভূখণ্ডের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল অংশ হিসাবে চায়। এছাড়া ফিলিস্তিনিরা ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরের পূর্ব অংশকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে থাকে।