রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আট মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। হামলায় ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের জন্য হামাস প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনটি সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড।

শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।’

ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র দাবি করেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনেও সফল হয়েছে তারা; কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।

প্রায় দু’সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।

ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইডিএফের গত ৭ মাসের অভিযানে ইতোমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩০০ জন বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার ২০০ জন। এই হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

অন্যদিকে অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ২৭৯ জন সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় সরকার।

এর আগে, গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

পরে ১২ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন, শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেকডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী,বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

দারুণ সব জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছিলও বাংলাদেশ। একমাত্র হারটি ছিলো ভারতের কাছে। সেই ভারতকে ফাইনালে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে পারেনি সুমাইয়া আক্তারের দল। কুয়ালালামপুরে ভারত আজ ৪১ রানের জয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বেউয়েমাস ওভালের ফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের পূঁজি পায় ভারত।

সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গঙ্গাদি তৃষা। বল হাতে ফারজানা ইয়াসমিন ৩১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি মোসাম্মত ইভা। দলীয় ৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ১৬ ও জুয়াইরা ফেরদৌসের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়েন ফাহমিদা ছোয়া। এই ওপেনার ২৪ বলে ১৮ করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ ওভার তিন বল পর্যন্ত টিকে থেকে ৭৬ রানে অলআউট হয় তারা।

৪১ রানের জয়োৎসবে মাতে ভারতীয় মেয়েরা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরা। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। ভারতের বোলিংয়ে আয়ুশি শুক্লা ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান পারুনিকা সিসোদিয়া ও সোনাম যাদব।

Header Ad
Header Ad

এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা

পুণঃযাত্রায় রবিবার পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা বের হয়। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দৈনিক ‘আমার দেশ’ প্রায় এক দশক পর আবার প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় এ পত্রিকাটি।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা হাতে পেয়েছেন পাঠকরা। সাপ্লিমেন্টসহ ৪৮ পৃষ্ঠার এই কাগজ ভোর থেকে পাঠকের হাতে পৌঁছাতে শুরু করে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে বাজারে আসে ‘আমার দেশ’। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে পত্রিকাটি ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে, ২০১০ সালের জুনেও ১০ দিনের জন্য পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে প্রায় দেড় মাস পর সাড়ে পাঁচ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান দেশে ফেরেন। তার নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারের নতুন কার্যালয় থেকে এখন আবার ‘আমার দেশ’ পত্রিকা বেরুচ্ছে।

মাহমুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শূন্য থেকে শুরু করে দুই মাসের মধ্যে জাতীয় পত্রিকা বের করা প্রায় অসম্ভব ছিল। পুনঃপ্রকাশের এই নতুন যাত্রায় পত্রিকাটি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে। পত্রিকাটি সঠিক খবর তুলে ধরার চেষ্টা করবে। মতপ্রকাশের জন্য আওয়াজ তুলবে ‘আমার দেশ’। ”

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে ‘আমার দেশ’র প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা