ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত জন্ম নেওয়া সেই মেয়ে শিশুটি আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এবং তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
গত রোববার মধ্যরাতের পর দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত ফিলিস্তিনি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় শিশু সাবরিন আল-সাকানি।
পরে তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস সরবরাহ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না। তার নাম রাখা হয়েছিল মৃত মায়ের নামেই। মৃত্যুর পর শিশু সাবরিনকে তার মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে রাফাহ’য় ভয়াবহ হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ছাড়াও মেয়েও ছিল।
মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া শিশুটির দেখভাল করছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ সালামা। তিনি বলেন, ‘জরুরি সি-সেকশনের বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশুটির প্রসবের সময় ওজন ছিল ১ দশমিক ৪ কেজি। এই সময় শিশুটির মাতৃগর্ভে থাকার কথা ছিল। কিন্তু শিশুটির সেই অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।’ শিশুটির ভূমিষ্ঠের সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম গ্রহণের কারণে গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগছিল শিশু সাবরিন।
শিশুটির মা, সাবরিন আল-সাকানি ৩০ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত সাবরিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রসবের জন্য জরুরি ভিত্তিতে তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন।