তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের শোচনীয় হার
ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপ পার্টির (একে) স্থানীয় নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থী প্রায় বড় বড় সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানকে দ্বিতীয় দফায় ভোটে লড়তে হয়েছে।
জানা যায়, তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রধান নগরীগুলোতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয়ী হতে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। আংকারা ও ইস্তাম্বুলের মেয়র পদ বিরোধী দল সিএইচপির প্রার্থীরা ধরে রেখেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার নির্বাচনের পর ইস্তাম্বুলের ৪৯ ভাগ ব্যালট গণনার পর দেখা যায় মেয়র ইকরেম ইমামুগ্লু ৫০.০৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপ পার্টির (একে) প্রার্থী মুরাত কুরুম ৪১.২ ভাগ ভোট পেয়েছেন।
আংকারায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯.২ ভাগ ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সিএইচপির মেয়র মনসুর ইয়াভাস ৫৮.২ ভাগ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এরদোগান-সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪.১ ভাগ ভোট।
সিএইচপি তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ইজমিরেও এগিয়ে আছে। এটি তাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
রাষ্ট্র-পরিচালিত আনাদুলু সংবাদ সংস্থা আংশিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, সিএইচপি প্রার্থীরা বুরসা, আতালিয়া ও আদানাতেও এগিয়ে রয়েছে।
ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই ইমামুগ্লু সিএইচপির ইস্তাম্বুল সদরদফতরে সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে আমি বলতে পারি, আমাদের নাগরিকরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন।'
ভোটের আগে এরদোগান বলেছিলেনম, 'এবারের নির্বাচন আমাদের দেশের নতুন যুগের সূচনা করবে।'
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামুগ্লু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোগান ও তার দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোগানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোগানের জন্য বড় আঘাত বিবেচিত হতে পারে। তিনি এই নগরীতে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠেন। ১৯৯০-এর দশকে এখানেই তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি এখানে জয়ের আশা করেছিলেন।
তুরস্কের প্রায় ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটার ৮১টি প্রদেশের মেয়র, প্রাদেশিক পরিষদ, এবং আরো বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় কর্মকর্তা নির্বাচনের জন্য অংশ নেয়।
এই জয়ের ফলে ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামুগ্লু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা