শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উপেক্ষা ইসরায়েলের, গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে।

একই সময়ে অন্তত ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৭৬ জন নিহত এবং আরও ১০২ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

গত সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার

রূপালি । ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার তেঁতুলতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়শা সিদ্দিকা রূপালির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে তেঁতুলতলার আব্দুর রহিম পাগলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন জানান, গ্রেফতারের পর আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট

ছবি: সংগৃহীত

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য শুক্রবার (১৪ মার্চ) থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ১৫ হাজার ৭৭৩টি টিকিটের বিপরীতে ২০ লাখ হিট পড়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তবে এ পর্যন্ত টিকিট কেনায় কোনও সমস্যা হয়নি। কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

এদিকে, দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

কোন তারিখে কোন ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে

১৪ মার্চে ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৫ মার্চে ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৬ মার্চে ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৭ মার্চে ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৮ মার্চে ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৯ মার্চে ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

২০ মার্চে ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায় কাউন্টারে কোনও টিকিট পাওয়া যাবে না। টানা সাত দিন ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে।

গত ৬ মার্চ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঈদযাত্রা শুরু হবে ২৪ মার্চ থেকে। যাত্রীদের সুবিধার্থে পাঁচ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে। যাত্রী চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আরও বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান
ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে সই করলেন প্রেসিডেন্ট