গাজায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী
ছবি: সংগৃহীত
আজ ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা সেখানে থাকা নারী জনগোষ্ঠীর দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে তাদের যেসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে তার একটি হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।
বর্ণনায় আশরাফ আল-কুদরা জানান, এই ভূখণ্ডে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছেন এমন একটি পরিবেশে যাকে কেবলমাত্র ‘অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর ও বিরূপ’ ছাড়া আর কোনোভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। প্রায় ৬০ হাজার নারী এখন সেখানে গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছেন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিচর্যার সুবিধা ছাড়াই। এসব গর্ভবতী নারী এখন প্রচণ্ড অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার শিকার।
এ প্রসঙ্গে আশরাফ আল-কুদরা বলেন, ‘আমরা নারীদের নিয়ে কাজ করা সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি ফিলিস্তিনি নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ও ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে মিশরে থাকা হামাস প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোনো রকম চুক্তি ছাড়াই দেশটির থেকে ফিরে এসেছে। তবে আগামী সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফাহ শহরে সামরিক বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। তিনি জানান গোটা গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযান চলবে।
যুক্তরাষ্ট্র গাজায় একটি নতুন বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। গাজার মানুষের জন্য দ্রুততম সময়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য এই বন্দর ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে স্পেন জানিয়েছে তারা জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কাজ করা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-কে দুই কোটি ইউরো অর্থ সাহায্য দেবে গাজায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণকাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য।