রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এবার ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় সহিংসতা নিয়ে ইসরায়েলকে কয়েক দফায় সতর্ক করার পর এবার কড়া পদক্ষেপ নিল বাইডেন প্রশাসন। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার জন্য দায়ী চরমপন্থিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভিসা নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের যারা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শীর্ষ এ কূটনীতিক বলেছেন, সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কয়েক ‘ডজন’ চরমপন্থি ইসরায়েলি এবং তাদের পরিবারের কিছু সদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। তিনি বলেন, আইন মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্র এসব ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলাকারী উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ইসরায়েল সরকারকে জোর দিয়েছি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবার বলেছেন, এ ধরনের আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য। গত সপ্তাহেও ইসরায়েল সফরকালে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব ক্ষমতা ব্যবহার করে এ ধরনের বিষয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে আক্রমণ বেড়েছে। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের সূত্রপাত। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খবর রয়টার্সের।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি কমানোর দাবি থাকলেও নিহতের এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় ১৫ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রায় ৪১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী যে গতিতে হামলা চালাচ্ছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ হলো ইসরায়েলি বিমান হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপে হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে। বোমা হামলার স্থান থেকে এসব মরদেহ অপসারণের দায়িত্বে নিয়োজিত বেসামরিক প্রশাসন ধসে পড়েছে।

Header Ad
Header Ad

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের মুক্তির মোড়ে ওলামা মাশায়েখ, তাবলীগ সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে মার্কাস জামে মসজিদের খতিব জামিলুর রহমানের নেতৃত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা ইজতেমায় হামলা ও হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় তাবলীগ নামধারী বিপথগামী পথভ্রষ্ট উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীরা সন্ত্রাসী কায়দা হামলা চালিয়ে অন্তত চার জনকে হত্যা করে। এছাড়াও অসংখ্য শান্তিপ্রিয় সাধারণ মুসল্লী, ওলামাগণ নৃশংস হামলার শিকার হয়ে গুরুতর অবস্থায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাইভেট কিনে নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি ও সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১ হাজারের বেশি মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Header Ad
Header Ad

আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?

ফাইল ছবি

বোরো মৌসুমের পর চালের দাম বাড়তে থাকায় ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুমে দাম কমবে। শুরুতে সেই প্রত্যাশার কিছুটা প্রতিফলনও দেখা গিয়েছিল। আমন মৌসুমের শুরুতে কিছু প্রকারের চালের দাম এক-দুই টাকা পর্যন্ত কমেছিল। তবে, গত সপ্তাহ থেকে দাম বাড়তে শুরু করে, এবং চলতি সপ্তাহে সেই বৃদ্ধির গতি আরও তীব্র হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম বাড়তি প্রবণতা পেয়েছে পাইকারি এবং খুচরা দুই পর্যায়েই। গত দুই সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির একেকটি বস্তার দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে, যেখানে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

দামের এই বৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতা, পাইকারি ব্যবসায়ী, এবং মিল-মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের উঁচু দাম ও ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি খরচ বাড়ছে, যা বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ।

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট মাসিক বাজেট থাকে। হঠাৎ করে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সেই ঘাটতি পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও চাল কিনতেই হয়, না খেয়ে তো আর থাকা যায় না।

বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে সস্তা চাল গুটিস্বর্ণা, যার দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৫২ টাকায় পৌঁছেছে। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়, আর মিনিকেট মানভেদে ৭২ থেকে ৭৮ টাকায়। নাজিরশাইল চালের দাম কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকার নিচে নেই। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, মিলাররা সিন্ডিকেট করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, মিলে দাম বেড়েছে। তারা চাল দিতে চায় না, অনেকে নতুন অর্ডারও নিচ্ছে না।

ধানের চড়া দামের অজুহাত তুলছেন আড়তদাররা। পাশাপাশি দাম বৃদ্ধির জন্য গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিকেও দায়ী করছেন তারা। এ বিষয়ে এক আড়তদার গণমাধ্যমকে বলেন, মিলাররা চালের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা এতটা না বাড়ালেও পারতো। এক-দুইদিনের ব্যবধানে দুইশ থেকে চারশো টাকা দাম বাড়ার ইতিহাস কখনও নেই।

তবে স্থানীয় উৎপাদনে চালের চাহিদা মিটছে না বলে দাবি করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলছেন, আমদানি করা চালের বাড়তি দাম এবং ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়ছে দামে।

বিষয়টি নিয়ে ফরহাদ হোসেন চকদার নামের এক মিল মালিক বলেন, আমদানি করা পণ্য খুব ধীরে দেশে আসছে। তাছাড়া সেগুলোর দামও চড়া। এর প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পড়েছে। আমদানিতে খরচ কমলে দেশের বাজারেও দাম কমবে।

মোস্তাফিজার রহমান নামের এক আমদানিকারক বলেন, ডলারের দাম বাড়ার ফলে আমাদের আমদানি খরচ বেড়েছে। এজন্য খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। ডলারের দামের লাগাম টানতে পারলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বনফুল হোটেল এলাকা ও সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ ২জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাতটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় দিনাজপুরমুখী অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক চাপা দিলে লুকাস মুরমু (৩০) নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত লুকাস গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের চামগাড়ী এলাকার হোপনা মুরমু'র পুত্র।

অপর দিকে একই দিন ভোরে শহরের বনফুল হোটেলের পাশে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক চাপায় অজ্ঞাতনামা (৪০) এক নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘন কুয়াশার মধ্যে সড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে লুকাস মুরমু’র লাশ তার স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অপর দুর্ঘটনায় ওই নারীর মাথা পিষ্ট হওয়ায় তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস