এবার ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় সহিংসতা নিয়ে ইসরায়েলকে কয়েক দফায় সতর্ক করার পর এবার কড়া পদক্ষেপ নিল বাইডেন প্রশাসন। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার জন্য দায়ী চরমপন্থিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভিসা নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের যারা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শীর্ষ এ কূটনীতিক বলেছেন, সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কয়েক ‘ডজন’ চরমপন্থি ইসরায়েলি এবং তাদের পরিবারের কিছু সদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। তিনি বলেন, আইন মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্র এসব ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলাকারী উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ইসরায়েল সরকারকে জোর দিয়েছি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবার বলেছেন, এ ধরনের আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য। গত সপ্তাহেও ইসরায়েল সফরকালে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব ক্ষমতা ব্যবহার করে এ ধরনের বিষয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে আক্রমণ বেড়েছে। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের সূত্রপাত। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খবর রয়টার্সের।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি কমানোর দাবি থাকলেও নিহতের এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় ১৫ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রায় ৪১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী যে গতিতে হামলা চালাচ্ছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ হলো ইসরায়েলি বিমান হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপে হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে। বোমা হামলার স্থান থেকে এসব মরদেহ অপসারণের দায়িত্বে নিয়োজিত বেসামরিক প্রশাসন ধসে পড়েছে।