পানির খোঁজে গাজাবাসী, দুই রুটি খেয়েই যাচ্ছে দিন
ছবি : সংগৃহীত
গভীর মানবিক সংকটে ফিলিস্তিনের গাজা। ইসরায়েলি হামলার কাছে শরণার্থী শিবিরগুলোও ছাড় পাচ্ছে না। আর এসব হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হচ্ছেন, এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। প্রায় মাসব্যাপী চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে খাদ্য, পানি, বাসস্থান ও বিদ্যুৎ সংকটে জীবন বিপর্যস্ত সেখানে।
খাদ্য-পানির অভাবে জর্জরিত মানুষগুলোর শুকনো রুটিই আহারের একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু দুই রুটিতেই দিন যাচ্ছে বেশিরভাগ গাজাবাসীর।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের এ শীর্ষ সহায়তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের মজুদকৃত ময়দা থেকে তৈরি দুই টুকরো আরবি রুটির ওপর জীবনযাপন করছে। রাস্তায় এখন গাড়ি থামালে শোনা যাচ্ছে ‘ পানি পানি’ চিৎকার।
গত কয়েক সপ্তাহে গোটা গাজা অঞ্চল চষে বেরিয়েছেন থমাস হোয়াইট। গাজাকে ‘মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য’ হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, এখানে বর্তমানে কোনো জায়গা নিরাপদ নয়। লোকেরা তাদের জীবন, তাদের ভবিষ্যৎ এবং তাদের পরিবারকে খাওয়ানোর সক্ষমতা নিয়ে ভয় পাচ্ছে।
জাতিসংঘের শীর্ষ কর্তা হেস্টিংস জানান, হাসপাতালে, পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট, খাদ্য উৎপাদন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো পরিচালনা করতে জেনারেটর দরকার। কিন্তু জ্বালানি সরবরাহ ফুরিয়ে যাওয়ায় একের পর এক জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা ইসমাইল আল-জাবালি বলেছেন, ‘আমরা পানির বোতল কিনতে বাধ্য হচ্ছি। টয়লেটে যেতে আমাদের সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করতে হয়। ’
আসমা আল-ওস্তাদ বলেন, বর্তমানে আমরা কঠিনভাবে জীবন পার করছি। এখানে কোনো বসার বা শোয়ার গদি নেই, আমরা প্লাস্টিকের ব্যাগে মাথা রেখে ঘুমাই। দিনের বেলা তাঁবুগুলো খুব গরম থাকে। রাতে আমরা খুব ঠান্ডা অনুভব করি। কারণ আমরা মাটিতে ঘুমাই। আর তাঁবুগুলোর গন্ধও বাজে, কারণ সেগুলো পুরোনো। আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরতে চাই, কারণ আমরা ক্লান্ত। ’ সূত্র: এপি