ভূমিকম্পে মৃত্যু ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ হাজার। এ ছাড়া এক সপ্তাহ পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের উদ্ধার করা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশ দুটিতে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। যদিও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা।
দেশ দুটিতে আশ্রয় ও পর্যাপ্ত খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। সেকারণে এখন জরুরি সহায়তার দিকে মনোযোগী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
এদিকে ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক প্রতিক্রিয়ায় প্রশাসনিক ব্যবর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান। আঙ্কারায় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের দেশেই নয়, মানবতার ইতিহাসেও সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছি।’
জাতিসংঘ বলছে, উদ্ধার পর্ব শেষ হয়ে আসছে। এখন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনের খাদ্যসহ অন্যান্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের একটি খেলার মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গত মানুষ। হাসান সাইমোয়া নামে এক শরণার্থী বলেন, ‘মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমরা একটি তাঁবু বা অন্য কিছু পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।’
ভূমিকম্পের ফলে সাইমোয়াসহ খোলা মাঠে আশ্রয় নেওয়া মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তারা খেলার মাঠে প্লাস্টিক, কম্বল এবং কার্ডবোর্ড ব্যবহার করে তাঁবু গেড়ে থাকছেন।
এদিকে ইউরোপবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক হ্যান্স হেনরি পি. ক্লুজ বলেন, ‘দুই দেশের ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাহিদা বাড়ছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তাদের জরুরিভিত্তিতে খাদ্য, স্যানিটারি ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা দরকার।’
এসএন