ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াল
সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এখনো ধ্বংসস্তুপের পুরো চিত্র পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকারীরা এখনো জীবিতদের জন্য ধ্বংসস্তূপে সন্ধান করছে, যদিও ভূমিকম্পের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পরে কাউকে জীবিত পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
হাজার হাজার বেঁচে থাকা মানুষের জীবনও হুমকির মুখে পড়েছে। তারা এখন আশ্রয়, পানি ও খাবার ছাড়াই রয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এটিকে ‘শতাব্দীর দুর্যোগ’ বলে অবিহিত করেছেন।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত তুরস্কে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৭টি মরদেহ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখন ‘আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে।’
এদিকে তুরস্কে উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, কিছু কিছু জায়গায় ভূমিকম্পের তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা পৌঁছেছেন। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েও যারা জীবিত ছিলেন তারা তীব্র ঠান্ডা ও পানির অভাবে মারা গেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রথমবারের মতো যায় জাতিসংঘের সহায়তা। তবে সেখানকার উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তাদের যে সরঞ্জাম প্রয়োজন ছিল, সেগুলো দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। তবে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস জানিয়েছেন, সিরিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও সহায়তা পৌঁছে যাবে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। সেসময় দেশ দুটির অধিকাংশ মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
এরপর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এবং বেশ কয়েকটি আফটারশকে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সিরিয়ার একটি অঞ্চল। এ ছাড়া তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর বিধ্বস্ত হয়। এরই মধ্যে এ সব শহরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য বলছে, তুরস্ক, সিরিয়ার পাশাপাশি সাইপ্রাস, লেবানন, ইসরায়েল, মিশরেও অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্পটি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শতাধিক আফটারশক আঘাত হেনেছে ওই অঞ্চলে।
এসএন