যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ?
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। ইতোমধ্যে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দলটির নেতা কিয়ার স্টারমার। এর মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনামলের অবসান হল।
দায়িত্ব গ্রহণ করেই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন একজন মুসলিম নারী। তার নাম শাবানা মাহমুদ।
শাবানা মাহমুদের জন্ম ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। তবে তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ-কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা-মা আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তবে শাবানা মাহমুদের শৈশব কেটেছে সৌদি আরবের তায়েফে। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু ও মিরপুরি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।
২০১০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো অ-ব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে হাউস অব কমন্সে যান। ওই বছরই প্রথম মুসলিম অ-ব্রিটিশ হিসেবে আরও দু’জন নারী (বাংলাদেশি রুশনারা আলী ও পাকিস্তানি ইয়াসমিন কুরেশি) সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
শাবানা মাহমুদ হলেন যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী ‘লর্ড অব চ্যান্সেলর’ নামের এই প্রাচীন পদটি গ্রহণ করলেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র্যাচেল রিভস। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ ডেভিড ল্যামি।
যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ইভেত্তে কুপার। জন হ্যালি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ব্রিজেত ফিলিপসন শিক্ষামন্ত্রী, ওয়েস স্ট্রিটিং স্বাস্থ্যমন্ত্রী, এড মিলিব্যান্ড জ্বালানিমন্ত্রী, শাবানা মাহমুদ বিচারমন্ত্রী, জোনাথন রেনল্ড বাণিজ্যমন্ত্রী, লিজ কেন্ডাল শ্রম ও কারামন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, লুইস হাইগ পরিবহনমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি–বিষয়কমন্ত্রী, লিসা নন্দী সংস্কৃতি–বিষয়ক মন্ত্রী, উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী হিলারি বেন, ইয়ান মারে স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী, জো স্টিভেনস ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল রিচার্ড হারমার কেসি, ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর প্যাট ম্যাকফ্যাডেন, ড্যারেন জোন্স ট্রেজারির মুখ্য সচিব, লুসি পাওয়েল হাউস অব কমনস নেতা, স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল হাউস অব কমন্সের চিফ হুইপ ও অ্যাঞ্জেলা স্মিথ হাউস অব লর্ডসের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ।
গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনও দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন। সূত্র: পলিটিক্স ইউকে, মিডল ইস্ট মনিটর, দ্য গ্লোবাল লিগ্যাল পোস্ট, জিও টিভি, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান