বেতন বৃদ্ধির দাবিতে জার্মানিতে আরও বড় ধর্মঘটের আশঙ্কা
জার্মানিতে পাবলিক সার্ভিস কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলোর আরও বড় ধর্মঘটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মালিক পক্ষ সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আর একারণেই দেশজুড়ে বড় আকারের ধর্মঘটের আশঙ্কা বাড়ছে।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বেতন-বৃদ্ধির জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘সতর্কতামূলক' ধর্মঘট ডেকেছে বার বার। এতে জার্মানির জনজীবন খানিকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। গত সোমবার দেশজুড়ে পরিবহন ধর্মঘট সেই সংগ্রামের সবচেয়ে জোরালো দৃষ্টান্ত ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মদাতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আলোচনার শেষেও দুই পক্ষ সেই কাজে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তৃতীয় দফার আলোচনাই চূড়ান্ত নয়, এবার নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের শামিল করে সমাধানসূত্রে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। আগামী ছয় কর্মদিবসের মধ্যে মূল প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তার দশ দিনের মধ্যে ফলাফল পেশ করতে হবে। সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের আশঙ্কা দেখা দেবে। তবে আসন্ন ইস্টারের ছুটির কারণে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভ্যার্ডি-র প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে বলেন, সামাজিকভাবে ন্যায্য ন্যূনতম বেতন আদায় করার চেষ্টা আপাতত ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এ জন্য কর্মদাতাদের দায়ী করেন।
সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের প্রধান উলরিশ সিলবারবাখ বলেন, মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, তার অন্তত কিছুটা ক্ষতিপূরণ করতে এমন বেতন-বৃদ্ধির দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করা যায়নি।
ফেডারেল সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার জটিলতা কাটাতে মধ্যস্থতার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এসএন