আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে ৪৯ সেনা নিহত
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আর্মেনিয়ার ৪৯ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। সংঘর্ষে আজারবাইজানের সেনা হতাহত হলেও সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে সীমান্তে কয়েক মিনিট পরপর এই সংঘর্ষ হয়। রাতভর চলে এই সংঘর্ষ। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
এই সংঘর্ষের পেছনে দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করছে। আর্মেনিয়া আগে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন শহরের জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেছেন।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, আর্মেনিয়ার জেরমুক, গোরিস, কাপানসহ বেশ কিছু শহরে আর্টিলারি ব্যারেজ ও ড্রোন হামলা চালায় আজারবাইজান বাহিনী।
অন্যদিকে আজারবাইজান অভিযোগ করে, আর্মেনিয়া বাহিনীর উস্কানির প্রতিক্রিয়ায় গুলি চালিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী। আর্মেনিয়ার সেনারা মাইন স্থাপনের পাশাপাশি আজারবাইজানের সেনাদের সামরিক অবস্থানে গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি তাদের।
এদিকে উভয়পক্ষে সংযত হতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ফ্রান্স। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান আজারবাইজানের এই কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালে বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। সেসময় সংঘর্ষে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর এটিই দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত।
এসজি