যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস
নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল যুক্তরাজ্য। কয়েক দফায় ভোটাভুটির পর শেষ পর্যন্ত লিজ ট্রাসকেই বেছে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। এর ফলে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা লিজ ট্রাসকে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হিসেবে বেছে নেয়। সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে লিজ ট্রাসই হলেন ব্রিটেনের ১৬তম প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির (১৯২২ কমিটি) চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলি। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে ট্রাস ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ (৮১ হাজার ৩২৬) ও সুনাক ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ (৬০ হাজার ৩৯৯) ভোট পেয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদায়ী ভাষণ দিবেন। পরে তিনি স্কটল্যান্ডে যাবেন। সেখানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বর্তমানে স্কটল্যান্ডে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিজ ট্রাস
সাধারণত লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ক্ষমতা হস্তান্তর হলেও এবার এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। যেহেতু রানি বর্তমানে স্কটল্যান্ডে আছেন সেহেতু স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলেই হবে ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিস ট্রাসের নিয়োগ অনুমোদন করবেন রানি।
২০১৯ সালে ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন জনসন। তবে নানা বিতর্কিত কাণ্ডে জড়িয়ে সমালোচনার মুখে গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান তিনি। এরপর থেকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বর্তমানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা ছিলেন গণিতের শিক্ষক। আর মা ছিলেন নার্স। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেছেন। এরপর নামেন রাজনীতির ময়দানে। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
এসজি