ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আবারও গোলাবর্ষণ, জাতিসংঘের উদ্বেগ
ইউক্রেনে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়ায় ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এদিকে এ পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, কেন্দ্রের অফিস ও ফায়ার স্টেশনে ১০ বার আঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি। তিনি সতর্ক করে বলেন, এটি একটি ‘গুরুতর সময়’।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলকে দ্রুত পরিদর্শনের জন্য অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে এর আগেও এমন দাবি করা হলেও তা কার্যকর করা হয়নি।
এর আগে প্ল্যান্টের সুরক্ষায় আশপাশে একটি অসামরিক অঞ্চল গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে যুদ্ধ বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্র করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র।
তবে এর বিরোধিতা করে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, অসামরিক অঞ্চল গড়ে তোলা কোনো বিকল্প হতে পারে না, এতে উস্কানি দেওয়া ও সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনার ঘটাতে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঘটনায় এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের পারমাণবিক সংস্থা এনারহোয়াটম জানিয়েছে, রুশ হামলাকারীরা জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্ট ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে। এতে বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোলাগুলির কারণে কর্মীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব ছিল। ফলে অতিরক্তি সময় কাজ করতে হয়েছে তাদের। তবে পরিস্থিতি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে এনারহোয়াটম।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসএন