অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

ছবি সংগৃহিত
অস্ট্রেলিয়া সরকার জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় এবার চিত্তবিনোদনের জন্য ভ্যাপের বেশ কিছু ধরণ নিষিদ্ধ এবং বাকি গুলোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
ই-সিগারেট বা ভ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে অস্ট্রলিয়া। মঙ্গলবার (২ মে) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার এ ঘোষণা দেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ওষুধের দোকানেই ভ্যাপ পাওয়া যায়। চিকিৎসার জন্যও চিকিৎসকরা মাঝেমধ্যে ব্যবস্থাপত্রে ভ্যাপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদিও উন্নত বিশ্বের সবচেয়ে কম সিগারেট সেবনকারীদের মধ্যে অন্যতম দেশ অস্ট্রেলিয়া।
দেশটিতে ভেপিং এত বেশি সহজলভ্য হয়ে গিয়েছিল যে সেটিকে “মহামারি” বলে আখ্যা দেন বিশেষজ্ঞরা। ফার্মেসিগুলোতে ভেপ রাখার ওপরও বিধি-নিষেধ জারি করেছে অস্ট্রেলীয় সরকার।
তাই অস্ট্রেলিয়া সরকার ভ্যাপের ন্যূনতম মান যাচাইয়ের ব্যবস্থার পাশাপাশি ফার্মেসিতে ভ্যাপ বিক্রি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার। যদিও দেশটিতে নিকোটিন যুক্ত ভ্যাপ কিনতে হলে প্রেসক্রিপশন দেখাতে হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পণ্যের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় নিকোটিনে আসক্ত এক তরুণ প্রজন্ম গড়ে উঠছে।
ভ্যাপ বা ই-সিগারেটে একটি তরল (সাধারণত তরল নিকোটিন) থাকে। যা তাপের মাধ্যমে বাষ্পে রূপান্তরিত হয় এবং ব্যবহারকারী ওই বাষ্প ফুসফুসে টেনে নেন।
ভ্যাপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে খুব বড় একটি ‘ভ্র্রান্ত’ ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, যারা ধূমপান ছাড়তে চাইছেন তাদের কাজটি সহজ করে দিতে ভ্যাপ উপকারী।
অনেকে আবার আয়েস করার পণ্য হিসেবে ভ্যাপ গ্রহণ করেন। অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় নগরীর তরুণদের মধ্যে এ কারণে ভ্যাপের ব্যবহার অনেক বেশি বলে জানায় বিবিসি।
