রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজ থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি

আজ থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি। ছবি: সংগৃহীত

আজ গাজাবাসীর জন্য স্বপ্নের মত একটি দিন। কেননা আজকে থেকেই কার্যকর হচ্ছে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি। গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার।

শনিবার সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৫ মাস চলা এ যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিরতি আসতে চলেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্সে বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল এবং মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজার বাসিন্দাদের সাবধানতা ও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

গতকাল ইসরায়েলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পায়। এর আগে টানা ছয় ঘণ্টা বৈঠক করেন নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রীরা। নেতানিয়াহুর দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চুক্তির (ফ্রেমওয়ার্ক) অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। আজ থেকে এটা কার্যকর হবে।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি ঠিক কখন শুরু হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, আজ স্থানীয় সময় বেলা দুইটার আগে কোনো বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে না।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন সেনা ও বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এর পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। এই যুদ্ধে ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ। অন্যদিকে জিম্মিদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গাজায় হামাসের কাছে এখনো ৯৮ জন জিম্মি জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় রয়েছেন।

 

Header Ad
Header Ad

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন। ছবি: সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন ২ শতাধিক আসামি। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।

এর আগে বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন হাইকোর্টে। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। পাশাপাশি আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। আর খালাস পান ২৮৩ জন।

তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। ফলে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হ্যাগারি জানিয়েছেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত হামাস চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলকে জিম্মিদের তালিকা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস তার দায়বদ্ধতা পূরণ না করছে, ততক্ষণ গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকবে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা। তবে এর আগেই ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ২৪ ঘণ্টা আগে জিম্মিদের তালিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

অন্যদিকে, হামাস দাবি করেছে যে ‘প্রযুক্তিগত কারণে’ তালিকা সরবরাহে বিলম্ব হয়েছে। ইসরায়েলের টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি নতুন করে সংঘর্ষ বাড়িয়ে তোলার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় দুদকের অভিযান, টাকা উদ্ধার

সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার । ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বাসা থেকে নগদ ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই কর্মকর্তার রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় দুদক পরিচালক মো. সাইমুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, এস কে সুরের বাসায় দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালাচ্ছে। এ সংক্রান্ত তথ্য পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তায় উপপরিচালক নাজমুল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি দল গ্রেপ্তার করে তাকে। সম্পদের বিবরণীয় দাখিল না করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ডিসেম্বর দায়েরকৃত এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর আদালতে হাজির কা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই কর্মকর্তাকে।

প্রসঙ্গত, আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠার পর ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো শুরু করে দুদক। একই বছরের মার্চে দুদকে তলব করা হয় তাকে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান এস কে সুর চৌধুরী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন
গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী
সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় দুদকের অভিযান, টাকা উদ্ধার
ইউটিউবের নতুন ফিচারে থাকছে যেসব সুবিধা
দেশে চারটি প্রদেশের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে ৭৭ জন নিহত  
হাত-মুখ বেঁধে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি
দেশের সীমান্ত নিরাপদ আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের গঙ্গায় ডুবল বাংলাদেশি জাহাজ
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের’
আজ থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি
সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশী: দাবি মুম্বাই পুলিশের  
আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না: সিইসি  
যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টা আগে ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর  
একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব  
স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন হাসিনা  
আজহারীর মাহফিলে ২২ নারীসহ আটক ২৩  
১৯ দফায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান: তারেক রহমান
চা খেতে ৩শ টাকা নিয়ে এসআই ক্লোজড