১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানি: মাথা নুইয়ে জেজু এয়ারের সিইওর ক্ষমা প্রার্থনা
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে জেজু এয়ারের একটি উড়োজাহাজে ১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কিম ই-বে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এবং সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা মাথা নত করে এই দুর্ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬-তে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যার কারণে রানওয়ে পার হয়ে একটি প্রাচীরে আঘাত হানে। এতে উড়োজাহাজের সামনের অংশ বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ের উপর দ্রুতগতিতে ছুটছিল কিন্তু এর ল্যান্ডিং গিয়ার নেমে আসেনি। পরবর্তীতে এটি প্রাচীরে আঘাত করলে প্রচণ্ড ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাত্র দুইজন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিরা প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, পাখির আঘাতের কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেজু এয়ারের সিইও কিম ই-বে বলেন, "এই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও অজানা। উড়োজাহাজটির কোনো দুর্ঘটনার রেকর্ড ছিল না এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কোনো লক্ষণও পাওয়া যায়নি।"
জেজু এয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, "আমরা নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে আছি। সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।"
এই দুর্ঘটনা কেবল দক্ষিণ কোরিয়াতেই নয়, বিশ্বজুড়ে বিমান নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিমান কর্তৃপক্ষ এবং জেজু এয়ারের ওপর তদন্তের চাপ বাড়ছে।