শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৬৭ জনে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এদিন ভোরে দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ‘পাখির সাথে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এখন পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মকের দপ্তর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। গত শুক্রবার চোই সাং মক দেশের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, প্লেনের কিছু অংশে আগুন লেগেছে।

 

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে “বেলি ল্যান্ডিং” (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে। বিমানটিতে ছয়জন ক্রু সদস্যসহ ১৮১ জন আরোহী ছিলেন।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। তার চিফ অব স্টাফও এই ঘটনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়লো

মেট্রোরেল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৩টার পরিবর্তে বিকেল ৩টায়। ফলে ছুটির দিনে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বেড়েছে। নতুন এই সময়সূচি কার্যকর হবে আগামীকাল, ১৭ জানুয়ারি থেকে।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপকের (প্রশাসন) সই করা নতুন সময়সূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নতুন সময়সূচি দেওয়া হলেও সেটি গণমাধ্যমে আসে বৃহস্পতিবার।

নতুন সময়সূচিতে জানানো হয়, ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার পরিবর্তে ৩টা থেকে মেট্রো চলাচল করবে। সে হিসেবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে বিকেল ৩টায় এবং সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টায়।

অন্যদিকে, মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। উভয় দিকের চলাচলে প্রতি ট্রেনের মধ্যে বিরতি থাকবে ১০ মিনিট।

নতুন সূচি অনুযায়ী, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একই সঙ্গে র‌্যাপিড পাস কেনা এবং এমআরটি বা র‌্যাপিড পাসে টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

মেট্রোরেল চলাচলের অন্য সব কার্যক্রম আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত: আসিফ নজরুল

বক্তব্য রাখছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য নেই। যত সময় লাগুক তা দিতে সম্মত সবাই। তবে অযথা কালক্ষেপণ যেন না হয়, সে বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, সবাই বলেছেন- এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন আসছে; মোটাদাগে হলো ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক নেচার বা লিগ্যাল নেচার কি হবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এটাকে প্রণয়ন করতে হবে। এটার জন্য যত সময় প্রয়োজন সময় নেয়া যেতে পারে। তবে এটাও বলছে যাতে অযথা কালবিলম্ব না হয় সেই মতামত দিয়েছে। সবাই ঐকমত্য হয়েছে, আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হতে সক্ষম হবো।

আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সবাই একত্রিতভাবে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি, তেমনি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারবো।

সময়সীমা নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সংগঠনের যারা অংশ নিয়েছে সবাই বলেছেন—ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করার জন্য। যত সময় লাগুক তা যেন নেয়া হয়। তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়। অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়। এই লক্ষ্য অনেকে প্রস্তাব করছে আলোচনা করার জন্য যাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এই প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছানোয়ার হোসেন (৩৭) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়া‌রি) বিকাল ৫ টায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উৎসুক জনতা তাকে হত্যা ক‌রে‌ছে ব‌লে অ‌ভি‌যোগ উঠেছে।

ছানোয়ার হোসেন মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকালে ওই যুবক হাসপাতালের নিচতলার গাইনী ওয়ার্ড থেকে একজনের মোবাইল ফোন চুরি করার সময় ধরা পরে। এ সময় উৎসুক জনতা তাকে পিটাতে পিটাতে হাসপাতালে বাইরে নিয়ে আসে। এতে সে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, হাসপাতালে এক যুবককে চোর সন্দেহে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়লো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত: আসিফ নজরুল
টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনের পাশে আছি, থাকব: এরদোগান
ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি
অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেফতার
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা
কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়
চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিমের ব্যাটে জয় ফরচুন বরিশালের
আলোচনায় পিনাকী ভট্টাচার্যের নতুন বই ‘ফুলকুমারী’
বৈঠকে যোগ দিচ্ছে বিএনপির এক সদস্যের প্রতিনিধি, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দেবে না মতামত
এবার টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক
১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু