ভারতে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২১
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় আশ্রমে পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও বাকিদের প্রায় সবাই শিশু। এছাড়াও এ ঘটনায় আহতও হয়েছেন বহু মানুষ, যাদের মধ্যে ২৮ জন গুরুতর আহত রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, হিন্দুদের দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে হাথরসের রতি ভানপুর গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করলে পদদলিত হয়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী।
মূলত ধর্মীয় আয়োজনটি করেছিলেন ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত এক ব্যক্তি। তাঁর অনুসারীরাই ওই ধর্মীয় আয়োজনে গিয়েছিলেন। কিন্তু হতাহতের এ ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে এই ভোলে বাবা।
বুধবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রতি ভানপুর গ্রামে এ ঘটনার পর থেকে ভোলে বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে খুঁজছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। এছাড়া নিহতের ঘটনার পর রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্টে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে সেখানে ‘ভোলে বাবা’ নামের ধর্মগুরুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, ভোলে বাবার আসল নাম নারায়ণ শাকর হরি। তিনি শাকর বিশ্ব হরি বা ভোলে বাবা নামে পরিচিত। প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তবে পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের চাকরি ছেড়ে এক সময় ধর্মীয় গুরু হয়ে যান তিনি। এরপর ভক্তদের প্রবচন দিতে শুরু করেন। বেশিরভাগ সময়ই তাকে সাদা পোশাকে দেখা যায়।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত করার জন্য জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি আরও জানিয়েছেন, খুব দ্রুত এই ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং তদন্ত শুরু করা হবে।
এছাড়া এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি মন্ত্রী সন্দীপ সিং।