উজবেকিস্তানে প্রাচীনতম উৎসব ‘নওরোজ’ পালিত
পার্শিয়ানদের নতুন বছর ‘নওরোজ’। ৩ হাজার বছরেরও পুরোনো নববর্ষটি অন্ধকারের উপর বসন্তের বিজয়ের প্রথম দিন হিসেবে পালন করা হয় বিভিন্ন দেশে। বসন্তের প্রথম এই দিনটি মধ্য এশিয়ার ইরান, আফগানিস্তান, আজারবাইজান, তুরস্ক, তাজিকিস্তান, তুকমেনিস্তান, কাজাকস্তান, কুদিস্তানসহ ভারত, পাকিস্তানের ফার্সিভাষীরা পালন করেন।
‘নওরোজের মূল্যবোধগুলো ও দর্শনের মাধ্যমে উজবেকিস্তান সামনের দিকে এগিয়ে একটি নতুন সমাজ তৈরিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ’- বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শাফকেত মিরজাইওয়েফ। তিনি মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তার দেশের বহু শতকের পুরোনো বসন্তের সরকারি ছুটির দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের বাণীতে এসব বলেন।
নববর্ষের ভাষণে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা বড় আকারের প্রকল্পগুলো আরও দ্রুত করব, যেগুলো আমরা শুরু করেছিলাম আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামো ও সেই সঙ্গে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য।’
২০১৬ সালে শাফকেত মিরজাইওয়েফ মধ্য এশিয়ার উজবেক আদিবাসী মুসলিমদের দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এরপর থেকে অর্থনৈতিক সংস্কার সাধনের জন্য দফায়, দফায় অনেকগুলো উন্নয়ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন। নিজের দেশকে তিনি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
উজবেকরা নওরোজকে ‘নাভরোজ’ বলে ডাকেন। তারা ব্যাপকভাবে জাতিসংঘের ‘২১ মার্চ দ্য ইন্টারন্যাশনাল ডে অব নাভরোজ’ পালন করেন। নাভরোজের মানে হলো ‘নতুন দিন’। দিবসটি প্রাচীনতম এই উৎসবের ইউনেসকোর স্বীকৃতি।
ওএফএস/