জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ছবি: রয়টার্স
অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এক বয়োজ্যেষ্ঠ নারীসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বৃহস্পতিবার সকালে জেনিন শরণার্থী শিবিরের ভিডিও ফুটেজে ভারী গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে মাগদা ওবায়েদ (৬০), সায়েব ইজরেকি (২৪) এবং ইজিদিন সালাহাত (২৬) নামে তিনজনকে শনাক্ত করেছে। এ ছাড়া ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর কারণে ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। স্থানীয় হাসপাতালের শিশুদের ওয়ার্ডেও ইসরায়েলি বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলেছে, তাদের সেনারা 'বড় হামলার' পরিকল্পনাকারী ইসলামিক জিহাদ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে জেনিনে প্রবেশ করে। সংগঠনটি ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের উপর বড় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জড়িত বলে অভিযোগ আইডিএফের।
ইসলামিক জিহাদ এবং হামাস বলেছে, তাদের সেনারা ইসরায়েলি বাহিনীদের সঙ্গে লড়াই করছে। সেখানে ইসরায়েল বারবার হামলা চালাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রবেশ করতে বাধা দিতে গেলে ৭ যুবক গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন এবং সেনারা জেনিন ক্যাম্প ক্লাব সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে।
আন্তর্জাতিক নীরবতার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটছে জানিয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনেহ এটিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
জেনিনের ডেপুটি গভর্নর কামাল আবু আল-রুব এএফপিকে বলেন, এখানকার বাসিন্দারা যুদ্ধাবস্থায় বাস করছে। ইসরায়েলি বাহিনী সবকিছু ধ্বংস করেছে।
চলতি বছর পশ্চিমতীরে সামরিক অভিযানের কথা বলে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ২৯ জন সশস্ত্র ও বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত বছর পশ্চিমতীরে ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
এসজি