নেপালে দেউবার দলের ৫৩ আসন, রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান!
নেপালের বর্তমান শাসক দল ও প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেত্বতাধীন ‘দ্য নেপালি কংগ্রেস’ রবিবার (২৭ নভেম্বর) দেশের সবচেয়ে বড় একক দল হিসেবে নির্বাচনে ফলাফলে আবিভূত হয়েছে। তারা প্রাধান্য ধরে রেখেছেন ৫৩টি সিট লাভের মাধ্যমে। ফলে কয়েক সপ্তাহের দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটল।
দেশের দি হাউজ অব রিপ্রেজেনটেভিস (এইচওআর) বা জাতীয় সংসদ এবং সাতটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়েছে গত ২০ নভেম্বর।
শের বাহাদুর দেউবা ও পুস্পকমল দহল প্রচণ্ড দেউবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াতারে বৈঠক করেছিলেন। তারা পাঁচটি দলের ঐক্য গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর নেপালি কংগ্রেস, প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-মাওয়িস্ট, মাধব নেপালের সিপিএন-ইউনিফায়েড সোশ্যালিস্ট পার্টি, মহান্ত ঠাকুরের লক্ষ্যতান্ত্রিক সমাজবাদী পার্টি ও চিত্ত বাহাদুরের রাষ্ট্রীয় জনমঞ্চের মধ্যে নির্বাচনী ঐক্য হয়েছে এবং তারা বিজয় অর্জন করেছেন।
ক্ষমাসীনদের ঐক্য মোট ৮৫টি আসন লাভ করেছে। তাদের বিরোধীরা ৫৫টি সিট পেয়েছেন। এই ফলাফলগুলো প্রধানমন্ত্রী দেউবার পক্ষে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেউবাসহ সাবেক তিন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড, ওলি (কে.পি. শর্মা ওলি) এবং মাধব নেপাল পার্লামেন্টর সদস্য নিবাচিত হয়েছেন।
তবে দল হিসেবে তার প্রতিপক্ষ দি কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাকসিস্ট-লেলিনিস্টদের একত্র অংশ, সিপিএন-উএমএল) লাভ করেছে ৪২টি সিট। এ তার আগামীতে দলগত চিন্তার বিষয়। এর বাইরে সিপিএ-মাওয়িস্ট ১৭টি আসন লাভ করেছে। ১০টি আসন লাভ করেছে সিপিএন-ইউনিফায়েড সোসালিস্ট পার্টি। রাস্ট্রীয় সত্যেন্দ্র পার্টি (আরএসপি) এবং হিন্দুপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পাটি নতুন গড়া দল। তারা ৭টি করে আসন পেয়েছে।
স্বতন্ত্র এবং অন্য ছোট দলগুলো একত্রে ২১টি আসন লাভ করেছে। এখনো নেপালের সংসদের ১৬৫টি আসনের মধ্যে ৮টির ফলাফল পাওয়া বাকি আছে। দেশের নির্বাচন কমিশন বলেছে, নিবন্ধিত ১৭.৯ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৬১ ভাগ ভোট প্রদান করেছেন।
এখন পর্যন্ত ৮০ ভাগ ভোট গণনা করা হয়েছে। ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ভোট গণনা বাকি আছে। ২শ ৭৫ আসনের জাতীয় সংসদে ১৬৫ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। বাকি ১১০ আসন সমানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রদান করা হয়। পরিষ্কার জয় লাভের জন্য কোনো একটি দলকে ১৩৮ সিট লাভ করতে হয়।
দীর্ঘকালের মাওবাদীদের বিদ্রোহের অবসানের পর থেকে নেপালের পার্লামেন্টে তাদের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ফলে ২০০৬ সালের পর থেকে আর কোনো প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি।
আগামী সরকারকেও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তাদের একটি স্থায়ী রাজনৈতিক প্রশাসন ও পাশের দেশ ভারত এবং চীনের সঙ্গে সমঝোতা করে এগুতে হবে।
ওএফএস/