তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ
ছবি: সংগৃহীত
সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ইরান। দেশটির রাজধানী তেহরানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এসময় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে নারীরা। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। যা পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আটকা পড়ে। নিরাপত্তাবাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে তাদের সেখানে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়ছে। এক ভিডিওতে দেখা যায় ছাত্ররা গুলির শব্দে পালিয়ে যাচ্ছে।
সহিংসতার ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মোটরসাইকেলে করে গাড়িতে গুলি করছেন। সেই গাড়ির ভেতর থাকা একজন সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের আবাসস্থল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় ইরান ইন্টারন্যাশনাল। এমনকি তারা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসও ছুড়ে।
নরওয়েভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান এই সহিংসতায় ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মাসা আমিনির মৃত্যুকে 'তিক্ত ঘটনা' বলে বর্ণনা করেন। একই সঙ্গে দেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেন। মাসা আমিনির মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পর এ বিষয়ে মন্তব্য করেন খামেনি।
এসজি