রোজা না রাখলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয় যে দেশে
ছবি সংগৃহিত
রোজা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আরবি মাস রমজান জুড়ে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে রোজা পালন করেন সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,পাপাচার, কামাচার এবং সেই সঙ্গে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোজা পালনের আছে নানান সংস্কৃতি। রোজা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে। তবে অনেকেই আছেন সুস্থ সবল থেকেও ঠিকভাবে রোজা রাখেন না। একমাস রোজা না পালন করলেও কয়েকটি রোজা রাখেন। কিন্তু এমন একটি দেশ আছে যেখানে রোজা পালন করাটা বাধ্যতামূলক। সেখানে কেউ রোজা না রাখলে গ্রেফতার করা হয়। এমন নিয়ম আছে নাইজেরিয়ায়।
সেখানে এই নিয়ম না মানার কারণে এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজান মাসে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে সেই দেশের ইসলামিক পুলিশ। মূলত আফ্রিকার এই দেশের একটি প্রদেশে রোজার মাসে এই নিয়ম আছে। সেখানে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখলে গ্রেফতার করা হয়।
নাইজেরিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু সেখানের ১২ প্রদেশে চালু করা হয়েছে শরিয়াতি আইন চালু। ওই ১২টি প্রদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সেই সমস্ত প্রদেশগুলির মধ্যে একটি হল কানো। আর কানোর ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত। তারা প্রতি বছর রমজান মাসে খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে।
জানা গেছে, কানোতে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। গ্রেফতার করার পরে জানিয়েছেন এবার থেকে প্রতিদিন রোজা পালন করবেন তারা। এরপরে তারা আর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ‘বাদ’ দেবেন না বলে শপথ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের এই রকম অনুসন্ধান এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে থাকছেন।’ লওয়াল ফাগে বলেন, ‘রোজা পালন অমুসলিমদের জন্য নয়। যাদের রোজা রাখার কথা, সেসব মুসলমানের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে এবং সেটা খান তাদের ধরা হয়।’