বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আসুন আমরা আলোচনা শুরু করি। জনগণের প্রত্যাশা ও চাওয়া কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তার সমাধান বের করি।”
রবিবার রাজধানীর বিজয়নগরে ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আয়োজনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “পলাতক স্বৈরাচার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছিল, সেগুলো মেরামত করতে হবে। আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে দেশের জনগণ। প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের মাধ্যমে আমরা দেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টে জনতার অভ্যুত্থানে জনগণের সমর্থন ছিল বলেই শেখ হাসিনার মতো একজন মাফিয়াকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। জনগণ তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি পরিবর্তন চেয়েছিল, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে অর্জিত হয়েছে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছে। তবে সংস্কারের প্রশ্নে সবচেয়ে আগে আমরা কথা বলেছি। আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণের ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করা।”
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।