এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ প্রতিরোধে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং আক্রান্তদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. মাস্ক ব্যবহার করা: শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে।
২. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা: বাহু বা টিস্যু দিয়ে।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু যথাযথভাবে ফেলা: ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলে, সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা: অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
৫. ঘন ঘন হাত ধোয়া: সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না ধরা।
৭. উপসর্গ থাকলে বাড়িতে থাকা: জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এইচএমপিভি ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ তৈরি করে, যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক।
বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। চীনসহ অন্যান্য দেশে এর প্রকোপের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী:
- ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু।
- ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তি।
- হাঁপানি বা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত।
- অন্তঃসত্ত্বা নারী।
- দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি।
দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিমানবন্দর ও বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এইচএমপিভি প্রতিরোধে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।