বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অমিক্রনে হেলাফেলা; সংক্রমণের বিদ্যুৎগতি

রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের কম্পিউটার ব্যবসায়ী ফরিদ আলম। জ্বর, ঠান্ডা, কাশিতে ভুগছেন। তিন দিন আগে জ্বর ছিলো। এখন নেই। সর্দিও কিছুটা কেমেছে। কিন্তু জ্বর বলে বাড়িতে থাকেননি। একদিন বাড়িতে থেকেই চলে এসেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। মানিক চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। জ্বর, ঠান্ডা কাশি নিয়েই চলছেন তিন দিন ধরে। বলেন তেমন কিছু না; ঠান্ডা লেগেছে। জাহিদ চাকরি করেন হাউজিং কোম্পানিতে। রাতে হালকা জ্বর আসায় নাপা খেয়ে সকালে অফিসে চলে গেলেন। বিকাল থেকে নাক দিয়ে পানি ঝড়ছে, আর হালকা কাশি। কিন্তু তাতে কিছু মনে করছেন না। বলেন, শীতে এমন হয়ই।

বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দাপট দেখাচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) মোট ১৬ হাজার ৩৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পরেছে। এ সময় মারা গেছেন ১৮ জন। শনাক্তের হার ৩২ দশিমিক ৪০।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অমিক্রন শনাক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। করোনা ইনফো ওয়েব সাইটের তথ্য মতে, গত এক মাসে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৬ জন শনাক্ত হয়েছে। আর মারা গেছেন ২১৪ জন। আর গত ৭দিনে দেশে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯০৪ জন। আর এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১৫৮ জনের। সুতরাং একথা সহজেই বোঝা যাচ্ছে ৬ ডিসেম্বরের তুলনায় এক মাস পর সংক্রমণের তীব্রতা কতটুকু বেড়েছে। যেভাবে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে নতুন এই ঢেউয়ে ভাইরাসটি বিদ্যুতের গতিতেই ছড়াচ্ছে।

আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা সংস্থা (আইসিডিডিআর'বি) গত ২০ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিদেনে বলা হয়েছে রাজধানী ঢাকায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ততের ৬৯ শতাংশ শরীরে অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে অমিক্রনের তিনটি সাব-টাইপ ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি অধিক সংবেদশীল। যে কারণে এর বিস্তার ঘটছে দ্রুত। যেটা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। তবে আশার জায়গা হচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রাণঘাতি নয়। এ কারণে মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম।

অমিক্রণের লক্ষণ:

চিকিৎসকদের মতে, অমিক্রন অনেকের কাছে সাধারণ ঠান্ডার মতোই মনে হবে। আক্রান্ত হওয়ার পর গলা শুকিয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, শরীরের জয়েন্টে ব্যাথা বা মাথা ব্যাথা হতে পারে। সাথে হালকা জ্বর। আক্রান্তের কাছ থেকে মূলত এসব লক্ষণ জানাগেছে।অনেকের ক্ষেত্রে ফুসফুসের উপরি অংশ ব্যাথা হচ্ছে।শরীর ক্লান্ত লাগছে বলে জানাচ্ছেন রোগীরা।

এসবের তোয়াক্কা করে কি আমাদের দেশের মানুষ? শিক্ষিত সচেতনদের মধ্যেও সাধারণ সর্দি কাশিকে তোয়াক্কা করতে দেখো যায় না। আর যার খেটে খাওয়া মানুষ তারা এসব সাধারণ ঠান্ডা কাশিকে বা হালকা জ্বরকে পাত্তা দেওয়ার সময় কোথায়? ফলে অধিক সংবেদনশীল অমিক্রমন আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। রাজধানীর বাইরে কোনো কোনো এলাকায় সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া অমিক্রণের উপসর্গ হালকা বলে অনেকেই পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনও অনুভব করছেন না। কারণ ৪-৫দিন পর সর্দি, জ্বর কাশি আপনা আপনি ভালো হয়ে যাচ্ছে। আর ভালো হলেই কাজে ফেরা যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষা নেই, আইসোলেশনের বেরিয়ারও নেই বলেই তারা মনে করছেন। সংক্রমনের গতি বেশি হওয়ার এটাও উল্লেখযোগ্য কারণ। 

Omicron: WHO classifies new COVID-19 variant B.1.1.529 as Omicron

অমিক্রনে আক্রান্তরা কতদিন অন্যের জন্য বিপদজনক:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারকে সতর্ক করেছে অমিক্রনকে কোনোভাবেই হেলাফেলা করা উচিৎ হবে না। বিশেষ করে যাদের এখনও ভ্যাকসিন হয়নি তারা এই ভাইরাসে মারা যেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, অমিক্রনের উপসর্গ তিনদিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা গড়ে পাঁচদিন।

বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন করোনাভাইরাসের রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হন। অমিক্রনের ক্ষেত্রে, আক্রান্ত রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার একদিন বা দুদিন আগেই সে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে। আর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত সে অন্যের জন্য ঝুঁকি থাকবে।

অর্থাৎ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিন থেকে পাঁচদিন সে অন্য যে কাউকে সংক্রামিত করতে পারে। অমিক্রন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাতদিনের মত থাকে। ফলে, শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বড়জোর সাতদিন কোনো রোগী অন্যের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

আইসোলেশন কত দিন

আইইডিসিআর এর হটলাইনের চিকিৎসকের মতে, সর্দি, জ্বর বা হালকা কাশির মতো উপসর্গগুলো চারদিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেলে টেস্ট না করালেও চলে। কারণ টেস্ট সঠিক ফল পেতে উপসর্গ দেখা দেয়ার চার দিন পর টেস্ট করালে ঠিক ফলাফল পাওয়া না। আর চার দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলে উপসর্গ দেখা দেয়ার দিন থেকে ১০দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। তা না হলে জীবানু অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

তবে যাদের কমপক্ষে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া আছে তাদেরকে অমিক্রনে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে না বা তাদের মৃত্যু ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে না। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনসহ বেশ কিছু দেশে আক্রান্ত রোগীর বাধ্যতামূলক আইসোলেশন বা ঘরে আলাদা হয়ে থাকার সময়সীমা পাঁচদিনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন করোনা সংক্রমিতদের আইসোলেশন ১০ দিনের পরিবর্তে ৫ থেকে ৭ দিন করা হচ্ছে। খুব শিগগির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন আইসোলেশন নীতি ঘোষণা দেবে।

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত