করোনায় আরও ১০৪৯ মৃত্যু, শনাক্ত সাড়ে ৪ লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এক হাজার ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৪ জন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪০ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার ৯১১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৩ জন এবং মারা গেছেন ১৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৫৪ লাখ পাঁচ হাজার ৩৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫০ হাজার ৬০৮ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৫০ জন এবং মারা গেছেন ২৪৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৯ লাখ ৬২ হাজার ৫১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ সাত হাজার ৭৯১ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৫১৬ জন এবং মারা গেছেন ১১৭ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৬০৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৬১ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৪ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯২৩ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। ব্রাজিলে নতুন করে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৭ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ হাজার ২২১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/