একদিনে আরও মৃত্যু ৯৩৮, শনাক্ত পৌনে ৪ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৩ জন।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৫ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ১২২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ৪৬০ জন এবং মারা গেছেন ১৪৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৮ হাজার ৪৮২ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬২৯ জন এবং মারা গেছেন ১৯৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি দুই লাখ ৭৯ হাজার ৬১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ তিন হাজার ৩৫৩ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৭২ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৪৬০ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৮৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৫৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯৩১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/